সত্যিই যে কষ্ট হচ্ছিল কেকে-র তা শেষ ভিডিও সামনে আসতেই আরও স্পষ্ট। সেখানে দেখা যাচ্ছে ঘামে ভিজে আছেন গায়ক। অনুষ্ঠান শেষ করেই হাতের মাইক ফেলে দিয়ে নিজের রক্ষীর হাত চেপে ধরেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় একেবারে ক্লান্ত কেকে। শেষ এই ভিডিওতে তাকানো যাচ্ছে না কেকে-র মুখের দিকে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে শরীরের অস্বাভাবিক কষ্ট চেপে রেখে গান করে গেছেন তিনি। শেষ বারের এই ভিডিও সেই প্রমাণই দিচ্ছে। অথচ এক হল ভর্তি লোক কিছুই বুঝতে পারলেন না? অমানবিক পরিবেশে কেন চলতে দেওয়া হল গানের অনুষ্ঠান? সবটাই কি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে করতে হবে? উঠছে প্রশ্ন।
advertisement
অথচ এই দৃশ্যের মাত্র মিনিট দশেক আগেও মঞ্চ কাঁপাচ্ছিলেন তিনি। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান শেষ করেন তাঁর নব্বইয়ের দশকের সাড়া ফেলা বন্ধুত্বের গান দিয়ে। মঙ্গলবার রাতে মঞ্চ থেকে নামার আগেও গেয়েছেন, ‘ইয়ারো দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়, ইয়ে না হো তো কেয়া ফির বোলো ইয়ে জিন্দগি হ্যায়...’ তারপরই কিছুক্ষণের মধ্যে সব শেষ।
নজরুল মঞ্চের মাত্রাতিরিক্ত ভিড়, অব্যবস্থা নিয়েই ইতিমধ্যেই অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করেছে। উপস্থিত অনেকেই বলছেন, মঙ্গলবার এই ভিড়ের পরিস্থিতি সামাল দিতে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ এসেছিল। কিন্তু উদ্যোক্তারা পুলিশের বারণ শোনেনি বলেই অভিযোগ। যা সিট ক্যাপাসিটি, তার থেকে দ্বিগুণের বেশি দর্শক ঢোকা নিয়ে পুলিশ আপত্তি করেছিল। কিছুই শোনা হয়নি। তাহলে এই মৃত্যুর দায় কার? সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল এই প্রশ্নে! তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।