ভক্তরা তাঁকে ভালোবেসে ও শ্রদ্ধা জানিয়েই পণ্ডিতজি বা মহারাজজি বলে সম্বোধন করতেন। ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাহক হিসেবে অন্যতম সেরা শিল্পী ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে নিজের বাড়িতে রবিবার নাচি-নাতনিদের সঙ্গে খেলছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই তাঁর শারীরিক কষ্ট শুরু হয়। আচমকাই জ্ঞান হারান তিনি। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অকস্মাৎ শাঁওলি বিদায়! নাট্যজগতে শোকের ছায়া, কেউ ভাসলেন স্মৃতিতে, কেউ চোখের জলে...
কয়েকদিন আগেই কিডনির রোগের চিকিৎসা করিয়েছিলেন তিনি, করা হয়েছিল ডায়ালিসিস। কত্থক নৃত্যের ঐতিহ্যশালী পরিবারের সদস্য ছিলেন বিরজু মহারাজ। তাঁর দুই কাকা শম্ভু মহারাজ ও লাচু মহারাজ এবং বিরজু মহারাজের গুরু ও বাবা ছিলেন আচান মহারাজ। বিরজু মহারাজও সেই নাচের ঘরানাকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তবে আচমকাই হল ছন্দপতন। শুধু নৃত্যই নয়, অসাধারণ ড্রামবাদকও ছিলেন বিরজু মহারাজ। সব ধরনের ড্রাম, তবলা, নাল বাজাতে পারতেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলা নাট্যজগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত শাঁওলি মিত্র! নীরবতায় শেষ বিদায়...
গানও গাইতেন বিরজু মহারাজ। ঠুমরি, দাদরা, ভজন ও গজলের নিদর্শন রয়েছে তাঁর গলায়। দর্শকের সামনে দারুণ গল্প করতে পারতেন। সোমবার সকালে গায়ক আদনান স্বামী পণ্ডিত বিরজু মহারাজের মৃত্যুর খবরে শোকবার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'প্রবাদপ্রতিম কত্থক নৃত্যশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজের প্রয়াণের খবরে শোকস্তব্ধ। তিনি পারফর্মিং আর্টসের একজন অসাধারণ শিল্পী ছিলেন। তিনি একাধিক প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।' পরিচালক অশোক পণ্ডিত ট্যুইটারে লিখেছেন, 'ভারত এক নক্ষত্রকে হারাল।'