পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক হিসাবে নিজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে করণ যা বলছেন, তা জানলে অনেকেই অবাক হবেন। করণের দাবি, কুছ কুছ হোতা হ্যায় ছবির সাফল্য তাঁকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। ফলে, তারকাদের ভিড়ে ঠাসা ‘কভি খুশি কভি গম’ তৈরির কাজে তিনি যখন হাত দেন, তখন তাঁর যেন মাটিতে পা পড়ছিল না, নিজেই এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পরিচালক।
advertisement
“ওই বছরটা আমার জন্য খুবই ক্রিটিকাল ছিল, শুধু পরিচালক হিসাবে নয়, মানুষ হিসাবেও। কেউ যখন উড়তে থাকে অহমিকায়, তখন নিয়তি নিজস্ব উপায়ে বলে দেয় যে পা যেন মাটিতেই থাকে। অথচ আমার মনে হয়েছিল বছরের সবথেকে বড় ছবি আমিই বানাচ্ছি, এর চেয়ে জমজমাট আর কী হতে পারে, সব পুরস্কার আমিই তো নিয়ে যাব”, বলছেন করণ।
এর ঠিক পরেই তিনি জানিয়েছেন যে ওই বছর অর্থাৎ ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া দুই ছবি লগান আর দিল চাহতা হ্যায় কী ভাবে তাঁকে ফিরিয়ে এনেছিল বাস্তবে। “ওই বছরে জুনে লগান দেখি, মনে হয়েছিল আমার ছবিটা এর কাছে কিছুই নয়”, খোলামেলা স্বীকারোক্তি তাঁর। করণ ছবিটাকে আখ্যা দিয়েছেন ‘সিনেম্যাটিক মার্ভেল’-এর। বলছেন, যতবার তিনি লগান দেখেছেন, প্রেক্ষাগৃহ হয়ে উঠেছে ক্রিকেটের স্টেডিয়াম, আশুতোষ গোয়াড়িকরের এই ছবিটার চেয়ে ভাল কিছু বানানো সম্ভবই নয় বলে মনে হয়েছিল তাঁর।
আর দিল চাহতা হ্যায়? এটা নিয়ে কী বক্তব্য করণের?
“ফারহান আর আমি প্রায় একসঙ্গেই বড় হয়েছি। ফারহান বখাটে, বরাবরই ভীষণ দুষ্টু, ফলে আমি ভেবেই নিয়েছিলাম ও আবার কী ছবি বানাবে”, বলছেন করণ। কিন্তু ছবি দেখে তাঁর মনে হয়েছিল সময়ের বাস্তবতা এর চেয়ে ভাল ভাবে রুপোলি পর্দায় তুলে ধরা যায় না। দিল চাহতা হ্যায় দেখার পরে করণের মনে হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে সেরা পরিচালক বলে চেনে, অথচ তিনিই সবচেয়ে পিছিয়ে, হাসতে হাসতে দাবি পরিচালকের।