ফেসবুকের ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘জয় শ্রীরাম, সতশ্রিয়াকাল রাম সারে ভাইয়ো কো, আজ জো ইয়ে কপিল শর্মাকে ক্যাপস কাফে.. সারে মে ফায়ারিং হুই জিসকি জিম্মেভরি, গোল্ডি ধীলোঁ লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং লেতে হ্যায়। ইসকো হামনে কল কি থি, ইসকো রিং নেহি সুনাই দি তো করওয়াই করনি পড়ি, অব ভি রিং না সুনেগি তো নেক্সট করওয়াই জলদি হি মুম্বই করেঙ্গে।’’
advertisement
পোস্টটির অর্থ এই দাঁড়ায় যে, আজ কপিল শর্মার ক্যাপস কাফে সাফে-তে যে গুলি চালনার যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার দায় নিচ্ছে গোল্ডি ধীলোঁ লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। ওঁকে আমরা কল করেছিলাম, উনি রিং শুনতে পাননি। তাই বিচার তো করতেই হত। এবার রিং যখন শোনেননি তাহলে পরের বিচারটা এবার মুম্বইয়েই করা হবে। যদিও ওই ফেসবুক পোস্টের সত্যতা এখনও যাচাই করছে মুম্বই পুলিশ।
কী হয়েছিল কপিল শর্মার কানাডার কাফে-তে?
বৃহস্পতিবার সকালে কানাডায় কমেডি তারকা তথা অভিনেতা কপিল শর্মার কাফে-তে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। চলতি মাসের মধ্যে এটাই এহেন দ্বিতীয় ঘটনা। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারে-তে অবস্থিত ক্যাপস কাফেটির মালিক কপিল শর্মা এবং তাঁর স্ত্রি গিনি চতরথ। কাফে-তে গুলি চালানোর ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে ২৫টি গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। গত ১০ জুলাইও একই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ওই কাফে। কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, নিষিদ্ধ খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই)-এর সঙ্গে যুক্ত লাড্ডি গ্যাংই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
কাফে-তে হামলার ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া কমেডি কিংয়ের?
গত সপ্তাহেই স্ত্রী গিনির সঙ্গে একটি কোল্যাবোরেটিভ পোস্টের মাধ্যমে কমেডি তারকা কপিল শর্মা একটি ভিডিও ভাগ করে নিয়েছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছে যে, তাঁর কাফেতে গিয়েছেন আধিকারিকরা। শান্তিতে তাঁদের খানাপিনা উপভোগও করতেও দেখা গিয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে কপিল স্পষ্ট করে দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা কোনও রকম হিংসাত্মক কার্যকলাপকে সমর্থন করেন না।
কমেডি কিং লিখেছেন যে, @thekapscafe_ -তে গিয়ে নিজেদের ভালবাসা এবং সমর্থন প্রদর্শন করেছেন মেয়র ব্রেন্ডা লকি, @surreypoliceservice এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। এর জন্য তাঁদের ধন্যবাদ। হিংসার বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।