প্রসঙ্গত, কঙ্গনা মুখ খুলেছিলেন সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে। অভিযোগ করেছিলেন বলিউডের তাবড় তাবড় পরিচালক প্রযোজকদের বিরুদ্ধে। নেপোটিজম, বলিউডের ড্রাগচক্রের মতো বহু বিষয় নিয়ে তিনি সরব হয়েছেন। এর পর থেকেই কঙ্গনা প্রাণের হুমকি পেতে শুরু করেন। ঘটনার সূত্রপাত দিনয়কয়েক আগে। বলিউডে নেপোটিজম এবং মাদক চক্র নিয়ে সরব কঙ্গনা মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন। মুম্বইবাসীর ভাবাবেগে আঘাত করে এই মন্তব্য, এই যুক্তিতে প্রতিবাদে মুখর হয় শিবসেনা। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত কঙ্গনাকে 'হারামখোর' ও বলেন। এই বিতণ্ডায় স্পষ্টই দু'ভাগ হয়ে যায় বলিউড। অনেকেই বলতে থাকেন, কঙ্গনা যেমন মুম্বইকে কদর্য আক্রমণ করছেন, তেমনই সঞ্জয়ের এই মন্তব্যও অত্যন্ত কুৎসিত।মুম্বইয়ের দিকে আঙুল তুলতে সঞ্জয় সপাটে বলেন, কঙ্গনার আর মুম্বই আসার দরকার নেই। দমবার পাত্রী নন কঙ্গনা। উত্তর ফিরিয়ে তিনিও সরাসরি বলেন, "আমার বাকস্বাধীনতা রয়েছে। যে কোনও প্রান্তে যাওয়ার অধিকারও রয়েছে।" কঙ্গনা একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে পা রাখতে চলেছেন। সেইমতো মুম্বই আসেন তিনি। এর পরই শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দেয়। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় কঙ্গনা রানাওয়াত মুখ খোলার পর থেকেই শিবসেনার সঙ্গে অভিনেত্রীর একাধিক ইস্যুতে সংঘাত শুরু হয়। গতকাল বুধবার কঙ্গনার মুম্বইয়ের অফিস ভেঙে দেয় বিমসি। যার প্রতিবাদ করেন ফের কঙ্গনা। ফেসবুকে সরাসরি ভিডিও পোস্ট করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি। এর পর থেকেই খেলা আন্য দিকে ঘুরতে থাকে।
advertisement