নভ্যা সেখানে নিজের মাকে প্রশ্ন করেন, ''শুরুর দিকে ঋতুস্রাবের কথা মনে আছে? কী হত তোমার?'' শ্বেতা বলেন, ''বিছানার সঙ্গে সেঁটে থাকতে ভাল লাগত। কার্বোহাইড্রেট খেতে ইচ্ছে করত। কারও সঙ্গে থাকার থেকে একা থাকতে বেশি স্বস্তি বোধ হত।''
আরও পড়ুন: মেয়েকে নিয়ে বচসা রণবীর-আলিয়ার! ফাঁস ঘনিষ্ঠ সূত্রে, রাহার জন্য সারারাত জাগতে হয় কি নতুন মাকে
advertisement
আরও পড়ুন: তিন মাস অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর চেপে গিয়েছিলেন আলিয়া! বমি ভাব, ক্লান্তি নিয়েই কাজ
একই প্রশ্ন নভ্যা তাঁর দিদাকে করেন। তখনই জানা যায় ভয়াবহ, কঠিন, অস্বস্তিকর কিছু দিনগুলির কথা। জয়ার সেই লড়াই শুনে নাতনি হতবাক! তখনকার দিনে ঋতু্স্রাব এবং আউটডোর শ্যুটিংয়ের তারিখ মিলে গেলে তার থেকে কঠিন কিছু হতে পারে না যেন।
জয়ার কথায়, ''আমাদের সময়ে আউটডোর শ্যুট থাকত। সেখানে ভ্যান থাকত না, অত বেশি শৌচালয়ও ছিল না।'' নভ্যা অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন, ''তা হলে কোথায় বদলাতে?'' জয়া বললেন, ''ঝোপের আড়ালে বদলাতে হত আমাদের। সঙ্গে থাকত একটা প্লাস্টিক ব্যাগ। সেখানে ব্যবহৃত জিনিসটা ফেলতে হত। সেটা সঙ্গেই থাকত, যাতে বাড়ি যাওয়ার পর সেটা ফেলে দিতে পারি। জঘন্য, অস্বস্তিকর বন্দোবস্ত ছিল। ভাবো, চার-পাঁচটা স্যানিটারি তোয়ালে পরে ওই ভাবে বসে থাকতে হত সারাদিন।''