জাভাড়েকর একটি কনফারেন্সের মাধ্যমে সিআইআই বিগ পিকচার সামিট অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ঘোষণা করেন যে, "আমরা এমন একটি দেশে থাকি যেখানে যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রযুক্তির বিকাশে দিন দিন উন্নতি ঘটছে। এই সামিট শিল্প ও সংস্কৃতির অর্থাৎ মিডিয়া এবং বিনোদন জগতের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে আমরা আশা করছি‘’ ।
advertisement
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল এফেক্টস, গেমিং এবং কমিক (এভিজিসি) এই ইন্ডাস্ট্রি গুলো তরতরিয়ে বেড়ে চলছে। এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন বহু লোকজন, যারা পরিচালকদের ব্যাক-এন্ডে থেকে অনবরত সাহায্য করে চলেছেন। এই পেশাদার ব্যক্তিরা কেবল মাত্র কোনও প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গেই যুক্ত নয়। তাঁরা নিজেরাই ফ্রিল্যান্স এবং দেশ বিদেশে বহু কাজ করছেন। ভারতীয় চলচ্চিত্র গুলিতে অ্যানিমেশন এবং গ্রাফিক্সের ব্যবহার যাতে বহুগুণে বৃদ্ধি পায় তার জন্য আমরা সব রকম সহায়তা করব’’।
এ ছাড়াও তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সরকার আইআইটি-বোম্বাইয়ের সহযোগিতায় একটি কেন্দ্রীয় সংগঠন তৈরি করছে যেখানে অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল এফেক্টস, গেমিং এবং কমিক কোর্স গুলি করার সুবিধা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি নতুন স্টার্ট আপ কোম্পানি গুলিকেও সরকার থেকে সাহায্য করা হবে। এ দেশে মিডিয়া এবং বিনোদন শিল্পের বিকাশ খুব জলদি ঘটছে। তাই কেন্দ্র থেকেও এই ইন্ডাস্ট্রিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। যেরকম করোনায় লকডাউনে এডুকেশনাল টেকনোলজি এবং ভারতীয় গেমিং এর মতন প্রযুক্তি গুলি নিজেদের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে।
কিছু দিন আগেই ৫১তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সময় জানান হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক তরফে বলা হয় পরের বছর গোয়ায় জানুয়ারি মাসের এই উৎসব পালিত হবে। উৎসব পালিত হবে ভার্চুয়ালি। দর্শকেরা অনলাইনেই ছবি দেখবেন। কেবল মাত্র উদ্বোধনী এবং সমাপ্তি অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি পালন করা সম্ভব নয়। তাই সেটিতে খুবই সীমিত সংখ্যক বিশেষ দর্শকেরা উপস্থিত থাকবেন।