বেশিরভাগ সময়ে মেকআপ ছাড়া থাকলেও নিজের ত্বকের যত্ন নিতে একেবারেই ভোলেন না পর্দার মঞ্জুলিকা কাম অঞ্জুলিকা। তাহলে কি এটা বলতে হয় যে বলিউডের তাবড় নায়িকাদের মতো টাবুরও কিছু বিউটি সিক্রেট আছে? অবশ্যই আছে। না হলে পঞ্চাশের গণ্ডি পেরিয়েও কীভাবে মধ্য তিরিশের মতো দেখতে লাগেন তিনি?
মুশকিল হচ্ছে ত্বক শুষ্ক বা তৈলাক্ত হলে একরকম, কিন্তু ত্বক যদি সেনসিটিভ বা স্পর্শকাতর হয় তাহলে ভারী সমস্যা। কারণ তখন অনেক কিছু অনেক ভেবেচিন্তে ব্যবহার করতে হয়। স্পর্শকাতর ত্বক বলেই নিজেই নিজের বডি স্ক্রাব বাড়িতে তৈরি করে নেন নায়িকা। তার জন্য তিনি দুটো উপাদান বেছে নিয়েছেন। এক হল সি সল্ট বা সামুদ্রিক লবণ আর আরেকটি উপাদান হল পেট্রোলিয়াম জেলি। স্নানের আগে এটা তিনি ব্যবহার করেন শরীরের মৃত কোষ তুলে ফেলার জন্য। সি সল্ট বা সামুদ্রিক লবণ টাবু ব্যবহার করেন কারণ এই নুনে আছে জীবাণু প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। তাই এই নুন দিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকে কোনও জীবাণু থাকবে না এবং ত্বকে চুলকানি বা র্যাশ হবে না। এছাড়া নুনের সঙ্গে যখন ত্বকের ঘষা লাগে তখন শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় ফলে ত্বকে বেশ গোলাপি আভা দেখা যায়।
advertisement
তবে টাবুর কাছে রয়েছে ত্বক ভাল রাখার দারুণ একটা টিপ। আর সেটা তিনি নির্দ্বিধায় সবার সঙ্গে শেয়ার করেছে। যাঁরা ত্বক সম্পর্কে সচেতন তাঁরা অবশ্য বিলক্ষণ জানেন এই তথ্য। টাবু বলেছেন ভাল ত্বকের রহস্য লুকিয়ে আছে ভাল ঘুমে। পর্যাপ্ত ঘুম হলে ত্বক নিজেকে মেরামত করার সময় পাবে আর সকালে তরতাজা ভাব অনুভব করা যাবে।
টাবু খুব জোর দিয়েছেন আর্দ্রতার উপরে। অর্থাৎ ত্বক ভাল রাখার প্রাথমিক শর্তের মধ্যে একটি হল ত্বক আর্দ্র রাখা। আর এই আর্দ্রতা শুধু বাইরের নয়, ভিতরেরও। জীবনে তিনটে উপদেশ টাবু তাঁর মায়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। এক হল সারাদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। যাতে শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়। টাবুর মা বলেছিলেন নিয়মিত এক্সারসাইজ করে ঘাম ঝরানোর কথা। ঘামের সঙ্গেও শরীরের টক্সিন বেরিয়ে যায়। তাছাড়া নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ঠিকমতো হয়।
তার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের প্রতি একটা পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি থাকাও দরকার বলে মনে করতেন টাবুর মা। কারণ মন ভাল না থাকলে তার ছাপ ত্বকের উপরে পড়বে। মায়ের দেওয়া এই তিনটি উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন টাবু। আজ অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর এত নামডাক, তবু মায়ের কথার অমর্যাদা করেন না তিনি।