হালকা শীত, ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যে শরতের সোনাঝরা রোদ্দুর খুঁজে বেড়ানো বাতুলতা মাত্র। সেই ফাঁকটুকু বাদ দিলে, প্রবাসীর পুজোমণ্ডপে আলো ও রোশনাইয়ের হই হই উৎসবে কোনওকিছুরই ঘাটতি চোখে পড়ে না। ষষ্ঠী থেকে দশমী দু‘বেলা করে ভোগের লম্বা লাইন। সামাজিকতার পাশাপাশি রসনার তৃপ্তি আস্বাদনের ভরপুর ব্যবস্থা থাকে ফি বছর। এবারে যেমন খিচুড়ি, লাবড়া, চাটনি, পাঁপড়ের পাশাপাশি থাকছে বাসন্তী পোলাও, আলু-পটল, লুচি- আলুরদম এবং আরও অনেক কিছুর ব্যবস্থা, আর শেষ পাতে মিষ্টি।
advertisement
প্রবাসীর পুজোর পরিচিতি এখন শুধুমাত্র লন্ডনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ব্রিটেনের বহু জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। দুর্গাপুজোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে পেটপুজোও। সেই সঙ্গে সাংস্কৃতিক আয়োজন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তাতে ভিড় এবং ব্যবসা দুটোই ফুলে ফেঁপে ওঠে। শ্রীবৃদ্ধি হয় সমাজ এবং মননের।
আশ্বিনের শারদ প্রাতে দেবী যখন কৈলাস থেকে ধরাধামে আসেন, তখন এটাই হনসলোয় পরিচিত ছবি। পুজোর ফুল, ধুপ, আতরের স্বর্গীয় গন্ধের সঙ্গে সুস্বাদু খাবারের গন্ধ মিলেমিশে এক মধুময় অনুভুতি সৃষ্টি করে, যেন এক সহাবস্থান। যেমন সহাবস্থান চিরন্তনের সঙ্গে নতুনের। প্রতিবারই পুজো আসে একইরকমভাবে। তাও প্রতিবারের পুজোই যেন নিজের মতো করে নতুন। সেই প্রতিমা, ভিড়, অঞ্জলির মন্ত্র, খাবারের লাইন, ঢাকের বাদ্যি, সবই হয় প্রতিবারের মতোই। অথচ সেই চিরাচরিত অনুশীলনের মধ্যেই প্রবাসী খুঁজে ফেরে নতুনকে।