গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই সামরিক আস্ফালন অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই আর্জি জানালেন হলিউড অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাডট। তাঁর মন্তব্য, ‘একটি স্বাধীন এবং সুরক্ষিত রাষ্ট্র হিসেবে ইজরায়েলের বাঁচার অধিকার রয়েছে। ঠিক একই অধিকার রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রেরও।’ আর তারপরই ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ খ্যাত অভিনেত্রীর এই পোস্ট ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে নেট-দুনিয়া। এতটাই যে, একসময়ে ট্যুইটারের ট্রেন্ডিং তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে গ্যালের নাম।
advertisement
একপক্ষের দাবি, ইজরায়েলের প্রোপাগান্ডা প্রচারের কাজ করছেন গ্যাল। অন্য পক্ষ বলছে, তিনি শুধু শান্তির পক্ষে সওয়াল করেছেন। জন্মসূত্রে ইজরায়েলি এই অভিনেত্রী প্রচারের আলোয় আসার আগে দেশের সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ট্যুইটারে ভাঙা হৃদয়ের ইমোজি দিয়ে গ্যাল লিখেছেন, ‘আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত। আমার দেশ আজ যুদ্ধ করছে। পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের জন্য চিন্তা হচ্ছে। হিংসা, পাল্টা হিংসার এই চক্র অনেক পুরনো। একটি স্বাধীন এবং সুরক্ষিত রাষ্ট্র হিসেবে বাঁচার অধিকার রয়েছে ইজরায়েলের। ঠিক একই অধিকার রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রেরও। আমি মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই শত্রুতা বন্ধের জন্য প্রার্থনা করব। আশা করি, আমাদের নেতারা একটা সমাধানসূত্র বের করবেন, যাতে দুই প্রতিবেশী দেশ শান্তিতে থাকতে পারে।’
শুধু গ্যালই নন, আরও এক ইজরায়েলি বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী নাতালি পোর্টম্যান, টিভি সঞ্চালক তথা কৌতুকশিল্পী ট্রেভর নোয়া, প্যালেস্তিনীয় সুপারমডেল বেলা এবং গিগি হাদিদ, নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই, গায়ক রজার ওয়াটার্স, অভিনেতা মার্ক রুফালো এই মৃত্যুমিছিল নিয়ে সরব হয়েছেন। ইজরায়েল-বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত নাতালি পোর্টম্যান অতীতে ‘ইহুদি নোবেল’ আখ্যা পাওয়া ইজরায়েলের জেনেসিস অ্যাওয়ার্ড পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
যদিও, অনেকেই নাতালিকে ইহুদি-বিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অনেকে গ্যাল গ্যাডটের সমালোচনা করে লিখেছেন, 'আপনি ভুল লিখেছেন। ইজরায়েল যুদ্ধ করছে না। প্যালেস্টাইন এবং সেখানকার নির্দোষ মানুষদের হত্যা করছে '। পক্ষেও কিছু সমর্থন পেয়েছেন। সব মিলিয়ে এই হলিউড অভিনেত্রীর শান্তি ফেরানোর আবেদন যদি কাজে লাগে তাহলেই ভাল।