শেষমেষ হাল ধরেন তিনিই। লোকজনকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁর নাম সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে শিখিয়ে এই বিপদের হাত থেকে মুক্তি পান তিনি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, "আমাকে এই দেশে এসে নিজের নাম পরিবর্তন করতে হয়নি। কিন্তু লোকজনকে নিজের নাম, উচ্চারণ করতে শেখাতে হয়েছে। আমেরিকায় কাজ খুঁজতে আসার দু'-দশক পরের ঘটনা এটা। লোকে আমার পদবী কিছুতেই সঠিক ভাবে উচ্চারণ করতে পারত না। বারে বারে চোপড়াকে শাপড়া বলে সম্বোধন করত৷ সেই সময় প্রায় জনে জনে লোককে বলতে হয়েছে- চোপড়া। শাপড়া নয়। তোমরা যদি 'ওপরা' উচ্চারণ করতে পারো, তবে চোপড়াও পারবে। সেটা এমন কিছু কঠিন ব্যাপার নয়।"
advertisement
এখানেই থামেননি প্রিয়াঙ্কা। হলিউডে কাজ পেতে তাঁকে তাঁর জাতিস্বত্বার প্রশ্নটিকেও ধোঁয়াশার মধ্যে রাখতে হয়েছিল। তিনি বলেছেন 'আমি আমার জাতিগত পরিচিতি নিয়ে বেশ কিছুটা অনিশ্চয়তায় ছিলাম। আমি পুরোপুরি আমেরিকান হয়ে উঠতে পারিনি। আবার এও সত্যি, পুরোপুরি ভারতীয় হয়েও এখানে চরিত্র পাওয়া যায়নি। ফলত আমি অভিনয় করতাম, আধা ভারতীয়-আধা আমেরিকানের চরিত্রে।' উদাহরণস্বরূপ নিজের অভিনয় করা কোয়ান্টিকো (Quantico) ছবির উদাহরণ দেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, এখনও আমেরিকায়, শুধুমাত্র ভারতীয় হিসাবে হলিউডে অভিনয় করা বেশ কঠিন।
কবীর বেদীর পরবর্তী স্টোরিজ ইন মাই লাইফ: দ্য ইমোশনাল লাইফ অফ আ্যান আ্যাক্টর (Stories In My Life: The Emotional Life Of An Actor) এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশে এসে এই কথাগুলি বলেন প্রিয়াঙ্কা। কবীরের পরবর্তী বই তার জীবনের ব্যক্তিগত ও পেশাদারি দুই ক্ষেত্রেরই উত্থান-পতনের এক এপিটাফ হিসাবে লেখা হয়েছে। বইতে তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রেম, সম্পর্ক, উত্থান, পতনের কথা বলা আছে। বেদীর জীবনের মতাদর্শ, সেই মতাদর্শের পরিবর্তনও এই বইতে ধরা থাকবে বলে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা।
