ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক অনন্য ছাপ রেখে গেলেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের জোয়ার বইতে থাকে। করন জোহর, অনন্যা পাণ্ডে, পুলকিত সম্রাট-সহ বহু তারকা তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। স্মৃতিমেদুর অজয় দেবগন, অক্ষয় কুমারও। এক্স হ্যান্ডল উপচে পড়ছে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে।
করন জোহরের আবেগঘন বার্তা
ইনস্টাগ্রামে করন লেখেন—
“একটা যুগের অবসান… অসাধারণ মেগাস্টার… মূলধারার ছবির পরিপূর্ণ নায়ক… অনন্যসুন্দর, রহস্যময় স্ক্রিন প্রেজেন্স… তিনি চিরকালই ভারতীয় সিনেমার প্রকৃত কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন। ইতিহাসের পাতায় তাঁর নাম উজ্জ্বল। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা— তিনি ছিলেন অসাধারণ মানুষ। সবার জন্যে ছিল শুধু ভালবাসা। তাঁর আশীর্বাদ, তাঁর আলিঙ্গন, তাঁর উষ্ণতা— কথায় বোঝানো যাবে না কতখানি মিস করব। আজ আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এক গভীর শূন্যতা তৈরি হল, যা কোনও দিনই পূরণ করা যাবে না। শুধু একজন ধর্মজি ছিলেন, থাকবেন। আমরা আপনাকে ভালবাসি, স্যার… আপনাকে ভীষণভাবে মনে পড়বে… স্বর্গ আজ ধন্য। আপনার সঙ্গে কাজ করা আমার সৌভাগ্য। আর মন বলছে— ‘অভি না জাও ছোড়কে… কে দিল অভি ভরা নহি…’ ওম শান্তি।”
advertisement
করিনা, কিয়ারা, অনন্যার শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
করিনা কপূর খান রাজ কপূরের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর একটি পুরনো ছবি পোস্ট করে লেখেন, “Forever in power.”
কিয়ারা আডবানি folded hands ইমোজি-সহ অভিনেতার একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেন।
অনন্যা পাণ্ডে, পুলকিত সম্রাট, বোমান ইরানি, মধুর ভাণ্ডারকর-সহ আরও অনেকে শোক প্রকাশ করেন।
১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্জাবের লুধিয়ানার নসরালি গ্রামে জন্ম ধর্মেন্দ্রর। ১৯৬০ সালে অভিনয়ে অভিষেক, তবে ১৯৬৬ সালের ফুল অউর পাথর ছবিতে মীনা কুমারীর বিপরীতে অভিনয় তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। প্রবল সাফল্যে তিনি তারকাখ্যাতি পান।
পরবর্তী সময়ে শোলে, রাজা জানি, সীতা অউর গীতা, কাহানি কিস্মত কি, ইয়াদোঁ কি বারাত, চারাস, আজাদ, দিল্লাগি— একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করে নিজের বহুমুখী প্রতিভা প্রমাণ করেন।
অন্তিম কাজ
ধর্মেন্দ্র শেষ দেখা গিয়েছিলেন ২০২৪ সালের তেরি বাতোঁ মোঁ অ্যায়সা উলঝা জিয়া ছবিতে, শাহিদ কপূর ও কৃতি স্যাননের সঙ্গে। তাঁর শেষ ছবি ইক্কিস মুক্তি পেতে চলেছে ডিসেম্বর মাসে। শ্রীরাম রাঘবন পরিচালিত এই জীবনীভিত্তিক যুদ্ধ-নাটকে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দা এবং জয়দীপ আহলাওয়াত।
