রুক্মিণী আসলে খুবই বুদ্ধিমতী মেয়ে। যে কোনও ক্ষেত্রেই। চিত্রনাট্য বাছার সময়ে খুব ভাবনাচিন্তা করে ও। সদ্য আমার সঙ্গে 'কিশমিশ'-এ কাজ করল, কিন্তু তারও প্রায় দু'বছর আগে 'সুইৎজারল্যান্ড'-এ অভিনয় করেছিল। আমি ভাবতে পারিনি যে ২৫-২৬ বছরের একটি মেয়ে দুই বাচ্চার মা হতে রাজি হবে। কেরিয়ারের শুরু দিকে এত বয়সে এত বড় চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয় না কেউ সচরাচর। কিন্তু রুক্মিণী হয়েছিল। বাংলায় ওর মতো নায়িকা কমই রয়েছে। এখনও কত কাজ করার পরিকল্পনা করি আমি মাঝে মধ্যেই। ও কিন্তু সবেতেই খুব উৎসাহী। গল্প, চিত্রনাট্য পড়ে শোনাতে খুবই ভাল লাগে।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার পুজোয় 'কিশমিশ' বেচবেন দেব ! ভ্যালেনটাইনস ডে-তে নতুন চমক দিলেন অভিনেতা
রুক্মিণী কিন্তু আবার কখনও কখনও আমার ছোট বোনও হয়ে যায়। সেটি হল সেটে। তখন আমি ওর দাদা। যা বলব, সেটাই শেষ কথা হিসেবে মেনে নেয়। উপরন্তু রুক্মিণী একইসঙ্গে নায়িকা এবং সহকারী পরিচালকের কাজ করে। যখন ওকে বলা হয়, এই দৃশ্যে তোমার এই পোশাক, তখন ও নিজে একটা চার্ট বানিয়ে ফেলে। পরবর্তী সমস্ত দৃশ্যে ওকে আর এক বারের জন্যেও মনে করাতে হয় না। নিজে নিজে সব সেজেগুজে চলে আসে সেটে।
আর রুক্মিণী আমার বন্ধুও বটে। কত আড্ডা মারি। ইন্ডাস্ট্রিতে ও-ই একমাত্র যাকে আমি মনের কথা বলতে পারি। দুষ্টুমিতেও সঙ্গ দিই। কত যে ফন্দি এঁটেছি, ওই পার্টি থেকে রাইস তুলে প্যাক করে পরের দিনের জলখাবারের বন্দোবস্ত করে নেব। কত নিন্দামন্দ করি আমরা। খুবই আনন্দে থাকি আমরা।
আরও পড়ুন: প্রেম দিয়ে সবার মন ভরাতে আসছে 'দিলখুশ'! 'কিশমিশ'-এর পর পরিচালক রাহুলের নতুন ছবি!
কিন্তু তা-ও দেবদার সঙ্গে রুক্মিণীর কী সম্পর্ক, কী রকম প্রেম, এ সব কোনও দিন জিজ্ঞাসা করিনি। ওটা ওদের ব্যক্তিগত বিষয়। সেটে কোনও দিনও প্রেম করতে দেখিনি দু'জনকে। ভীষণ পেশাদার মানুষ তারা।
আজ আমার বন্ধু, দিদি, ছোট বোনের জন্মদিন। পৃথিবীর সমস্ত আনন্দের ভাগীদার যেন হয় রুক্মিণী।