সব্যসাচীর ভাষায়, '' উনি সন্ধ্যে থেকে সেজেগুজে বসে থাকেন মাঝরাতে জন্মদিন পালন করবেন বলে। বারোটা বাজার আগে নিজেই কেক নিয়ে বসে সবাইকে ডাকাডাকি করেন। আমি ভুলে যাই বলে এক সপ্তাহ আগে থেকে মনে করাতে থাকেন যে ওনার জন্মদিন আসছে।
ছোটবেলায় বাংলা ব্যাকরণে ‘জিজীবিষা’ শব্দটা পড়েছিলাম। তবে তার প্রকৃত অর্থ আমি জেনেছি ওনাকে দেখে।
advertisement
শুভ জন্মদিন।''
গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বদলে গিয়েছিল হাসিখুশি, প্রাণবন্ত ঐন্দ্রিলার জীবন! সেই সময় সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। বায়োপসি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ৫ বছর পর দ্বিতীয়বারের জন্য ক্যানসার বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে। ঐন্দ্রিলার ডানদিকের ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়েছে যা ম্যালিগন্যান্ট। ঐন্দ্রিলা এর আগে টেন্টস নামক বিরল ক্যানসারে আক্রান্ত হন ২০১৫ সালে। প্রায় দেড় বছরের লড়াই পেরিয়ে ক্যানসার জয়ী হন ঐন্দ্রিলা। ১৬টি কেমো আর ৩৩টি রেডিয়েশনের পর গতবার ক্যানসার যুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু ফের একবার ফিরে এল মারণ রোগ! শুরু হল দীর্ঘ লড়াই, বড় কঠিন সে লড়াই! প্রতিটা দিনের প্রতিটা মুহূর্তে পাশে ছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী, ছোট পর্দার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ -এর 'বামদেব'! দাঁতে দাঁত চেপে ‘ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট’ মন্ত্র জপতে জপতে লড়েছেন তিনি এবং অবশেষে ক্যানসার-জয়ী ঐন্দ্রিলা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কর্কট রোগের আর কোনও কোষ ওর শরীরে অবশিষ্ট নেই। এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলা সুস্থ এবং বিপদমুক্ত। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিন পর্যন্ত কেমোথেরাপি চলে।