পেশায় ওই মহিলা একজন গায়িকা। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠানও করেছেন। লোকেশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বছর দুয়েকের। লোকেশ এবং ওই গায়িকার সেই বন্ধুত্বই গড়ায় বিশেষ সম্পর্কে। মহিলার অভিযোগ, শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁকে ফোন করে ডাকেন লোকেশ। ফোনেই বলেন যে তাঁর পেট ব্যথা করছে, তাই তিনি যেন বেশি দেরি না করে অভিনেতার ফ্ল্যাটে চলে আসেন। অভিনেতা বন্ধুর কথামতো সেই মহিলাও পৌঁছে যান লোকেশের পি মজুমদার রোডের বাড়িতে। সেখানে গিয়েই তিনি দেখেন মদ্যপ লোকেশকে। মহিলা জানান, সেসময়ে অনেকটাই মদ্যপান করেছিলেন লোকেশ।
advertisement
বারণ করায় প্রথমটায় বাঁধা দেন অভিনেতা। এরপরই মোবাইল নিয়ে ঘেঁটে তিনি জানতে পারেন লোকেশের সঙ্গে একাধিক মহিলার সম্পর্ক রয়েছে। সেই থেকেই ঝগড়ার সূত্রপাত। দু’জনের মধ্যে বচসা থেকে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে হাতাহাতি শুরু হয় একে অপরের মধ্যে। এরপরই লোকেশ কাচের বোতল ছুঁড়ে মারেন তাঁকে। এছাড়াও একাধিকবার লাথি-ঘুসি মারা হয়েছে তাঁকে। এরপরই আক্রান্ত অবস্থায় রাত ১১টা নাগাদ কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই গায়িকা।
প্রসঙ্গত, অনেকগুলি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেন তিনি ৷ যদিও টলিউডের পরিচিত মুখ হয়ে উঠলেও তাঁর বেশিরভাগ ছবিই মুখ থুবড়ে পড়ে ৷
এবার সেই অভিনেতাই সংবাদ শিরোনামে ৷ একটা সময় বিখ্যাত চিত্রপরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর বড় মেয়ে চুমকি চৌধুরীর সঙ্গে বিয়েও হয়েছিল তাঁর ৷ তবে সে সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি ৷