আজ্ঞে হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। এই সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, ডেবিউ ছবি ইকবাল (Iqbal)-এর শুটিংয়ের তিনদিন আগে অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর বিয়ে ছিল তাঁর। ফলে সেই কারণে পরিচালক নাগেশ কুকুনুর (Nagesh Kukunoor)-এর কাছে ছুটির আবেদন করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে বর্ষশেষের পার্টি করবেন তিনি। তবে শ্রেয়স যখন জানান যে তাঁর বিয়ে, তখন চমকে ওঠেন নাগেশ। কারণ ইকবালে শ্রেয়স একজন কিশোরের চরিত্রে অভিনয় করছেন। ফলে ছবির প্রচারের সময় তাঁর বিয়ের কথা যদি ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ ছবিতে ইকবালের বিয়েই হয়নি। সেই কারণে শ্রেয়সকে বিয়ে বাতিলের নির্দেশ দেন পরিচালক।
advertisement
কথাটি শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে শ্রেয়সের। কারণ বিয়ের কার্ড সকলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সর্বোপরি একটা মধ্যবিত্ত বাড়িতে বিয়ে পিছিয়ে যাওয়া কোনও মুখের কথা নয়। ফলে পরিচালকের কাছে কাতর অনুরোধ করতে থাকেন তিনি। শেষমেশ নাগেশ রাজি হন। তবে শর্ত ছিল, কোনও ভাবেই ইকবাল রিলিজ পর্যন্ত বিয়ের খবর পাঁচকান করতে দেওয়া যাবে না।
অতঃপর, ওই ৩১ ডিসেম্বরে শ্রেয়স বিয়ে করেন দীপ্তিকে (Dipti Talpade)। কিন্তু গোল বাধে ছবির প্রিমিয়ারের সময়। কারণ হঠাৎই শ্রেয়সের স্ত্রী বায়না ধরেন যে ছবির প্রিমিয়ারে তাঁকেও নিয়ে যেতে হবে। এই নিয়ে নাগেশের সঙ্গে ফন্দি আটেন অভিনেতা। প্রিমিয়ারের দিন নাগেশের বোন হয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দীপ্তি। ওই দিন ছবির প্রযোজক সুভাষ ঘাই (Subhash Ghai)-এর বিষয়টি নজরে আসে। বলা বাহুল্য, শ্রেয়সের বিয়ের কথা জানতেন না তিনিও। স্বাভাবিক ভাবেই নাগেশের কাছে দীপ্তির বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে হাটে হাঁড়ি ফাটান পরিচালক। শ্রেয়স জানান, সুভাষজি ভেবে নিয়েছিলেন আমি ১৮ বছরের একটি ছেলে এবং আমি বাল্যবিবাহ করেছি!