এই প্রঙ্গে কার্তিকের ব্যবহার কতটা অপেশাদারি, ধর্মা প্রোডাকশনস তা ফলাও করে বলতে ছাড়ছে না! প্রযোজনা সংস্থার দাবি, কার্তিক না কি এই ছবির কাজে ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছিলেন। যে চিত্রনাট্য ধর্মা প্রোডাকশনসের অভিজ্ঞ চিত্রনাট্যকারদের দল দ্বারা অনুমোদিত, যা নিয়ে ছবি করার সিলমোহর দিয়েছেন খোদ প্রযোজক করণ জোহরও, সেটা না কি নায়কের যথেষ্ট বুদ্ধিদীপ্ত বলে মনে হয়নি! তাই তিনি সেই চিত্রনাট্যের বেশ কয়েকটা জায়গা বদলানোর দাবি জানিয়েছেন, এমনটাই দাবি করছে ধর্মা প্রোডাকশনস!
advertisement
সমস্যা অবশ্য প্রযোজনা সংস্থার মতে এখানেই শেষ নয়। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে কার্তিকের সঙ্গে দোস্তানা ২ নিয়ে ধর্মা প্রোডাকশনসের চুক্তি হয়। সংস্থার দাবি, কার্তিক তাঁদের ডেট দিচ্ছেন না। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি মোটে ২০ দিনের শ্যুটিং শেষ করেছেন। তাই বাধ্য হয়েই ক্রমশ বেড়ে চলা লোকসানে এবার দাঁড়ি টানতে বাধ্য হচ্ছে সংস্থা। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে- ভবিষ্যতে ধর্মা প্রোডাকশনস বা করণ জোহরের কোনও কাজেই কার্তিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে না!
যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি- যা ঘটেছে, তা থেকে বলিউডের স্বজনপোষণ বিতর্ক আরও জোরদার হয়ে ওঠে। ২০১৯ এর অক্টোবরের পর থেকে দেশে শুরু হয়েছিল লকডাউন, গোটা ২০২০ বছরটাই কেটেছে এই ভাবে। তার পর যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে, শুরু হয়েছে কাজ, তখন আবার কার্তিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুতরাং, তিনি ডেট দিতে পারছেন না- এই অভিযোগ অনেকাংশে ভিত্তিহীন।
তবে চিত্রনাট্যে পরিবর্তনের দাবি নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। কেন না, নায়ক চুপ করে আছেন, এখনও পর্যন্ত তিনি এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তাঁর ম্যানেজিং টিমের তরফে শুধু জানানো হয়েছে যে খুব তাড়াতাড়িই আসল ব্যাপারে আলোকপাত করা হবে!