সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারেীনিতু বলেছেন যে তিনি চান ছেলেমেয়েরা তাঁদের পেশাদারি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাক। মা হিসেবে নীতু বরাবরই কড়া মেজাজের। আর এখানেই তাঁর সেই বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছে। ছেলেমেয়েরা দূরে থাকলেই ভালোবাসা কমে যায় বা এটা প্রমাণ হয় যে তাঁরা বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্বশীল নয়, এটা একেবারেই বিশ্বাস করেন না তিনি। বরং একা থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই ছেলেমেয়েকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে মনের মধ্যে থাকো কিন্তু মাথায় ওঠার চেষ্টা করো না। ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট বড় হয়ে গিয়ে নিজ নিজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত হলেও নীতু যে এখনও তাঁদের অভিভাবক সেটা ভালোই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
advertisement
অতিমারীর সময়ে মেয়ে ঋদ্ধিমা প্রায় এক বছর নীতুর সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু এতে নিশ্চিন্ত হওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি করে অস্থিরতায় ভুগতেন তিনি। তাঁর মনে হত নাতি ভরত একা রয়েছে। ফলে ঋদ্ধিমার সেখানেই থাকা উচিত। বলতে গেলে এক প্রকার জোর করেই মেয়েকে ঠেলেঠুলে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়েছেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত পরিসর নিয়ে সচেতন নীতু কখনওই চাননি যে তাঁকে নিয়ে অযথা কেউ ব্যস্ত হয়ে পড়ুক।
একাকী মাকে সঙ্গ দিতে দিল্লি থেকে এসেছিলেন ঋদ্ধিমা। দু'জনে রান্নাবান্না করে এবং একে অপরের চুল কেটে দিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। তবে নীতু একা থাকায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন ফলে ঋদ্ধিমাকে তিনি বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
পুরনো দিনের স্মৃতিচারণে নীতু বলেন যে ছেলেমেয়েরা যখন বড় হয়ে বিদেশে পড়তে গেল সেটা একটা অদ্ভুত সময় ছিল। ঋদ্ধিমা যখন প্রথম বিদেশে যান, তখন তিনি খুবই কান্নাকাটি করতেন। ভেঙে পড়তেন নীতুও। তবে রণবীরের বেলায় অনেকটাই সামলে নিয়েছিলেন তিনি।
ছেলেমেয়ের প্রতি মা নীতুর বার্তা এটুকুই যে রোজ দেখা করতে হবে না, তবে যোগাযোগটুকু রাখলেই তিনি খুশি।
আগামী দিনে অনিল কাপুর (Anil Kapoor) ও বরুণ ধাওয়ানের (Varun Dhawan ) সঙ্গে যুগ যুগ জিও (Jug Jugg Jeeyo) ছবিতে দেখা যাবে নীতুকে।