অশ্বিনী কলসেকর শুধু বড় পর্দাই নয়, কাঁপিয়েছেন ছোট পর্দাও। বেশির ভাগ টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকার চরিত্রেই অবতীর্ণ হয়েছেন অভিনেত্রী। কখনও ‘কসম সে’ ধারাবাহিকে ‘জিজ্ঞাসা’, তো কখনও ‘যোধা আকবর’ ধারাবাহিকে ‘মহামাঙ্গা’-র চরিত্রে রীতিমতো ছোট পর্দা কাঁপিয়েছেন। তবে কমেডি ধারাতেও অনবদ্য অশ্বিনী। তিনি অভিনয় করেছেন ‘গোলমাল’, ‘অল দ্য বেস্ট’, ‘সিংহম রিটার্নস’, ‘খাকি’-র মতো ছবিতে। কেরিয়ারে একের পর এক উচ্চতা স্পর্শ করলেও এক সময় অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন ছিল যেন কাঁটায় ভরা!
advertisement
আরও পড়ুন– একের পর এক সরকারি জমির চরিত্র বদল, একাধিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নবান্নের
আসলে অশ্বিনীর প্রথম সংসারজীবনে লেগে থাকত নিত্য অশান্তি। ১৯৯৮ সালে তিনি বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা নীতেশ পাণ্ডেকে। কিন্তু সেই বিয়ের আয়ু ছিল মাত্র ৪ বছর। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। তা বাড়তে বাড়তে এমন একটা জায়গায় পৌঁছয় যে, ২০০২ সালে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় নীতেশ-অশ্বিনীর। এর পর নিজেকে আরও বেশি করে কাজে ব্যস্ত রাখতে শুরু করেন অভিনেত্রী। আর এই সময়ই আলাপ অভিনেতা মুরলি শর্মার সঙ্গে।
‘অপহরণ’ ছবির কাজের সময় থেকেই অশ্বিনী-মুরলির আলাপ। ছবির সেট থেকে সেই আলাপ গড়ায় গভীর বন্ধুত্বে। সেই বন্ধুত্ব প্রেমের রূপ নিতে আর বেশি সময় লাগেনি। অবশেষে ২০০৯ সালে মুরলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অশ্বিনী। বিয়ের আগে এবং পরে একসঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন তাঁরা। এক সাক্ষাৎকারে অশ্বিনী কলসেকর জানিয়েছিলেন যে, তিনি এবং তাঁর স্বামী একে অপরের সবথেকে বড় সমালোচক। একসঙ্গে তাঁরা যখন কাজ করেন, তখন প্রতিটি শটের পরে তা নিয়ে আলোচনাও করেন।