তারপরেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ভাই তাঁর কতটা প্রতিদ্বন্দ্বী? তার উত্তরে গৌরব জানান, "আমাদের বোধহয় সেই জিনিসটা নেই। অর্জুন কোনও ভালো কাজ করলে আমি গর্ববোধ করি। ব্যোমকেশ গোত্রতে ও একটা খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে। তখন লোকজন আমার কাছে আসে এবং বলে তোমার ভাই কিন্তু অসাধারণ অভইনয় করেছে। এরপর আরেকটা ছবি আসে গুপ্তধনের সন্ধানে। একেবারে অন্য একটা চরিত্র। দুটো ভিন্ন চরিত্রে ও এত অসাধারণ কাজ করে, একইবছরে দুটো ভাল ছবি, একধাক্কায় ওর কেরিয়ার অনেকটা এগিয়ে যায়। এবং সেইটার জন্য আমি ভীষণ গর্ববোধ করেছিলাম, এবং এখনও গর্ববোধ করি। ও আস্বাভাবিক একজন অভিনেতা, আমার ধারণা, কোনওভাবেই ওর ধারেকাছে আসি না বলে মনে করি। সেইকারণেই আমাদের মধ্যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়নি কখনও। আমি ওকে ভীষণ ভালবাসি। অভিনেতা হিসেবে আমি ওকে খুব শ্রদ্ধা করি।"
advertisement
আরও পড়ুন: অনেক স্মৃতি রয়েছে, চাইলে একটা বই লেখা হয়ে যাবে: পূর্ণদাস বাউল
ছেলেবেলায় কেমনভাবে বড় হয়ে ওঠা টলিউডের হার্টথ্রব এই দুই ভাইয়ের? উত্তরে গৌরব জানান, "আমাদের বয়সের পার্থক্যটা কম। তাই দাদা-ভাইয়ের থেকে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা বেশি। তবে এমন নয় যে মরপিট করিনি। এ ওর চশমা ভেঙে দিয়েছে, ও এর চোখ কালো করে দিয়েছে। মায়ের কাছে মারও খেয়েছি এত ঝগড়াঝাটি করতাম বলে। ঠিক যেভাবে ভাইরা বড় হয়, এক বাড়িতে থেকে সেভাবেই বড় হয়েছি। এবং বড় হয়ে একে অপরের আরও বেশি বন্ধু হয়ে উঠেছি। আমরা একে অপরের সবচেয়ে বড় চিয়ারলিডার। একজনের ছবি রিলিজ করলে আরেকজন ঠিক পৌঁছে যায়। সেই সম্পর্কটাই যেন সারাজীবন থাকে। তার কৃতিত্ব আমাদের বাবা-মারই। আমরা চেষ্টা করি প্রতি সপ্তাহে একবার সবাই মিলে দেখা করার, আড্ডা দেওয়ার, গল্প করার।"
আরও পড়ুন: নির্মলা মিশ্রের ডাকনাম ছিল 'ঝামেলা'! একদিনও ঝামেলা করতে দেখিনি: ইন্দ্রনীল সেন
সদ্য মুক্তি পাওয়া টিজারে ঋদ্ধির হাতের বাঁঁশি আরও পাকা করে দিল সুরের সঙ্গে ছবির সম্পর্কটা। সুরঙ্গনার কোমল গলায় আবার যদি বাঁশি শুনতে ইচ্ছা হয় যেন বুঝিয়ে দিল, এই গল্প বাঁশিকে ঘিরেই। সানাই আর বাঁশিকে ঘিরে গল্প আবর্তিত হবে। টিজারে নজর কেড়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও অপরাজিতা আঢ্যের লুকও। দুজনকেই দেখা গিয়েছে একেবারে অচেনা বেশে। সিনেমা ঠিক কেমন সাফল্য পাবে, তা সময়ের অপেক্ষা...