নিউজ18 বাংলার তরফে রাহুল ওরফে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে যোগাযোগ করতেই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তাঁর প্রশ্ন, "সকাল থেকে অনেকগুলো ফোন এসেছে আমার কাছে। কিন্তু সোনালিদি তো অনেকদিন থেকে অসুস্থ। কই তখন তো এত খোঁজ খবর রাখতে দেখিনি কাউকে। তাঁর মৃত্যুর পর এত লেখালেখি কেন? সবাই এতদিন কোথায় ছিল?" অনিন্দ্যর দুঃখ, কেউ মনে রাখেনি প্রয়াত অভিনেত্রীকে। আর সেই দুঃখই ক্ষোভের রূপ নিল অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তীর স্ত্রীর মৃত্যুর পরে।
advertisement
সোমবার ভোর ৪ টে ৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ৫৯ বছরের অভিনেত্রী।
'গাঁটছড়া' মেগার এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার অর্ণব রায় জানালেন, সোনালি চক্রবর্তী গত ১৮ অগাস্ট শেষ শ্যুটিং করেছেন। তার আগে থেকেই উনি অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু অসুস্থতা নিয়েও কাজ করেছিলেন। তার পরেই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
আরও পড়ুন: বউভাতের সন্ধ্যায়ও সোনালির অভিনয় মঞ্চে, জীবনের যাত্রাপথে শঙ্কর ও তিনি ছিলেন একে অন্যের পরিপূরক
সেই সময়ে গত অগাস্টে সোনালি এবং শঙ্করের মেয়ে সংজ্ঞা চক্রবর্তী নিউজ18 বাংলাকে জানিয়েছিলেন, পেটে জল জমেছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে তা ছাড়া শরীরে আরও নানা ধরনের জটিলতা ছিল। একইসঙ্গে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড এবং লিভারের সমস্যা। তাই পেট থেকে জল বের করার পরেও আরও দু'এক দিন হাসপাতালে রেখে তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। সংজ্ঞা জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে পরে চেন্নাই নিয়ে গিয়ে আর এক বার চেকআপ করানো হবে। কিন্তু তার পর খানিক সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যান।
আরও পড়ুন: পেটে জল জমে অসুস্থ সোনালী চক্রবর্তী, এখন কেমন আছেন শঙ্কর-পত্নী? জানালেন কন্যা
অর্ণবের কথায়, "সম্ভবত তিন-চারদিন আগে আবার ভর্তি হন হাসপাতালে। তার আগে পর্যন্ত অল্পবিস্তর কথা হত আমাদের। সোনালিদি বলতেন, 'মিস করছি সবাইকে। খুব তাড়াতাড়ি ফ্লোরে ফিরব।' আসলে কাজপাগল ছিলেন। ভীষণ প্যাশনেট। আমি তো বলব নতুন প্রজন্মের প্রত্যেকের ওঁর এই নিষ্ঠার কাছাকাছি পৌঁছনো উচিত।"
কয়েক দশক ধরে বাংলা ছবি ও টেলিভিশন ধারাবাহিকের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে ছিলেন সোনালি৷ অভিনয়ের পাশাপাশি নাচও ছিল তাঁর প্রিয় শখ৷ তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘দাদার কীর্তি’ ছবিতে অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর সঙ্গে এক ঝলক নাচের দৃশ্যেও দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন তিনি৷ ‘হার জিত’, ‘বন্ধন’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দাগ কেটেছিল দর্শকদের মনে৷