আমিশার কথায়, “দিনের শেষে দর্শক তারা এবং সাকিনার টানে ছবিটি দেখতে আসছেন। দর্শক তারা এবং সাকিনার সঙ্গে একাত্মবোধ করে। ঠিক যেমন লিওলার্দো ডি ক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেটকে ছাড়া টাইটানিক সম্ভব নয়।”
অনিল এ প্রসঙ্গে বলেন, “ছবিটির শ্যুটিং চলাকালীন আমিশাজি অনেক কথাই বলেছেন। আমি সেই সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাই না। আমি তাঁকে সম্মান করি এবং তা অব্যাহত থাকবে। সকিনা চরিত্রের জন্ম আমার হৃদয় থেকে, তাঁর নয়। আমি নিজেও জানি না গদর ৩-এ কী হবে। ওঁর ভাবা বা বলায় কী হবে? আমি খুশি যে তিনি গদরের সঙ্গে এতটা জড়িয়ে। আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। উনি ভাল-খারাপ যা-ই বলুন, ওঁর ব্যাপার।”
advertisement
আরও পড়ুন: ইচ্ছা মতো ঠোঁট পেতে নায়িকাদের ভরসা ফিলার! কত টাকা থাকতে হবে, অঙ্কটা প্রকাশ্যে
আরও পড়ুন: টলিউড থেকে সোজা ঢালিউড! ছবির সংখ্যা কমছে বলেই কি পথ বদলালেন সায়ন্তিকা
আমিশা জানান, অনিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কখনওই ভাল ছিল না। তবে পরিচালককে অভিনেত্রী তাঁর পরিবারের অংশ বলে মনে করেন। তাঁর দাবি, সাকিনার জন্ম অনিলের হৃদযয় থেকে নয়, লেখক শক্তিমান তলোয়ারের কলম থেকে। অমিশা এও দাবি করেন যে, অনিল প্রথমে তাঁকে শাকিনা চরিত্রে চাননি। সেই চরিত্রে তিনি চেয়েছিলেন মমতা কুলকার্নিকে। তারার চরিত্রে চেয়েছিলেন গোবিন্দাকে। জি স্টুডিও-র পক্ষ থেকে সানি এবং আমিশাকে সেই চরিত্রের জন্য বেছে নেওয়া হয়।
এখানেই শেষ নয়। আমিশা জানান, এখনও বহু কলাকুশলীদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক দেননি। এ বিষয়ে অভিনেত্রী ট্যুইট করলে তাঁকে সেটি মুছে দিতে অনুরোধ করেন অনিল। আমিশার কথায়, “আমার কাছে এখনও চ্যাট আছে। অনিলজি আমার বিজনেস পার্টনারকে অনুরোধ করেছিলেন ট্যুইটগুলি মুছে দিতে।” অনিলের অনুরোধে আমিশা ট্যুইটগুলো মুছেও দিয়েছিলেন। তিনি জানান, যে সব কলাকুশলীদের পারিশ্রমিক এখনও বাকি, তাঁদের সকলের চ্যাট আছে আমার কাছে। উনি (অনিল শর্মা) যে ভাবে প্রোডাকশন সামলেছেন, তা দেখে জি স্টুডিও হতবাক। তারাই সমস্যা সামলায়। জি স্টুডিও টিমের চ্যাটও আছে।”