'ফিল্ম সিন্ডিকেট'-এর যাত্রা শুরু ২০২০ সালে। মূলত, 'তাকদীর' তৈরির জন্য প্রযোজনা সংস্থাটির জন্ম। সৈয়দ আহমেদ শাওকী পরিচালিত সেই সিরিজ সাড়া ফেলেছিল দুই বাংলায়। বলা হয়, লকডাউনে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত থ্রিলারটির হাত ধরেই গতে বাঁধা বাংলা কন্টেন্টের ভিড়ে নতুনত্বের স্বাদ পায় দর্শক। আর হাতেখড়িতেই ঈপ্সিত সাফল্য পায় 'ফিল্ম সিন্ডিকেট'। নিউজ18 বাংলাকে শাওকী বলেন, "সব জিনিসেরই সিন্ডিকেট থাকে। সেই সিন্ডিকেটকে ভাঙার জন্য আমরা এই সিন্ডিকেট তৈরি করি। অনেক সময়ই 'সিন্ডিকেট' শব্দটিকে নেতিবাচক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। আমরা তার ইতিবাচক দিকটি দেখানোর চেষ্টা করি।"
advertisement
বাংলাদেশের প্রযোজক এবং পরিচালক মীর মোকাররম হোসেনের উদ্যোগে নির্মাতা তানিম নূর, সালেহ সোবহান অনীম, কৃষ্ণেন্দু চট্ট্যোপাধ্যায়, রুমেল চৌধুরী, সৈয়দ আহমেদ শাওকী এবং রেহমান সোবহান সনেটকে নিয়ে তৈরি হয় 'ফিল্ম সিন্ডিকেট'। শিল্পীদের শৈল্পিক স্বাধীনতায় যাতে কোনওপ্রকার হস্তক্ষেপ না হয়, তা নিয়ে শুরু থেকেই তৎপর এই প্রযোজনা সংস্থা। পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় গল্প এনে দর্শকের স্বাদবদলেও এর অবদান নিছক কম নয়।
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে দিল্লি ক্রাইমস, স্ট্রেঞ্জার থিংস, ২০২২-এ কোন ১০ সিরিজ ছক্কা হাঁকাল!
আরও পড়ুন: 'কারাগার'-এর রহস্য ফাঁস! বন্দি চঞ্চল আসলে কে, বড় ইঙ্গিত মিলল ২য় সিজনের ট্রেলারে
'তাকদীর'-এর পর এই 'ফিল্ম সিন্ডিকেট'-এর ছাতার নিচে তৈরি হয় 'কারাগার', 'কাইজার', 'উনলৌকিক'। জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রত্যেকটি কাজ এখনও পর্যন্ত সফল। এ বার নতুন অধ্যায়। আসন্ন ১২টি প্রযোজনার মধ্যে সাতটি ওয়েব সিরিজ- 'উনলৌকিক ২', 'গুলমোহর', 'পেন্ডুলাম', 'ডেল্টা ২০৫১', 'দ্বৈত', 'অদানব', 'ফ্রেন্ডস উইদআউট বেনিফিটস'। পাঁচটি ছবি- 'লোহানী', 'বাইপাস', 'খোঁয়ারি', 'পুলসিরাত', 'হেল ব্রোক লুজ'।
শাওকী জানান, 'ফিল্ম সিন্ডিকেট'-এর গল্পগুলি পৌঁছে দেওয়া হবে বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থা, বিনিয়োগকারী এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের কাছে। সিরিজের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট একটি প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভরশীলতা নয়। বরং নির্মাতারাই সিদ্ধান্ত নেবেন কাদের সঙ্গে কাজ করবেন তাঁরা। অন্য দিকে, পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর আসতে পারে ওটিটি-তে। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রযোজক এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কাজের পরিকল্পনা চলছে।
বর্তমানে ওটিটি-র সৌজন্যে মলিন ভৌগলিক সীমারেখা। বিনোদনের ক্ষেত্রে দুই বাংলার আদানপ্রদান লক্ষণীয়। শৈল্পিক স্বাধীনতাকে অটুট রেখে আরও সৃজনশীল এবং নতুনত্ব গল্প বলার লক্ষ্যেই এক ছাদের নিচে এসে ওপার বাংলার নির্মাতাদের অভিনব এই উদ্যোগ।