ডোনা: হ্যাঁ ৷ এ বার অনেকেটাই আগে আমরা বসন্তোৎসবটা করলাম ৷ আসলে প্রতিবারই আমরা সপ্তাহের শেষদিকে, অর্থাৎ শনি ও রবিবার দেখে বসন্তোৎসব করে থাকি ৷ কিন্তু এ বার দোলটা একটু আগে পড়েছে ৷ সপ্তাহের মাঝামাঝি পড়েছে দোল ৷ সেই কারণে একটু আগেই অনুষ্ঠানটা করেছি ৷ কেননা সপ্তাহের মাঝখানে হলে স্কুল-কলেজ থেকে ফিরতে একটু অসুবিধে হয় ৷ তাই সপ্তাহের শেষে অনুষ্ঠান করি আমরা ৷
advertisement
প্র: এরপর কী প্ল্যান?
ডোনা: এ বার আমরা সল্টলেকে ইন্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে বসন্তোৎসব করলাম ৷ পরেরবার আরও বড় করে অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করব ৷ যাতে সল্টলেকের আরও মানুষ যোগ দেন, সেই আশাই রাখব ৷ এর সঙ্গে আমার বাড়িতেও একটা দোলের অনুষ্ঠান হয় ৷ সেখানেও আমার নাচের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা পারফর্ম করবে ৷ বেশ মজা হয় ৷
প্র: ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় যখন ডোনা রায় ছিলেন, তখন তাঁর দোলটা কেমন ছিল ?
ডোনা: আমার নাচের স্কুলে, গানের স্কুলে হোলি হত ৷ ওখানে নাচতে যেতাম ৷ কিন্তু এমনভাবে হত না ৷ তো ওখানে একটু নাচ-গান করতে হত ৷ রং মাখতাম ৷ কিন্তু অনেক সময়ই পাড়ার সবার সঙ্গে রং খেলে উঠতে পারতাম না ৷ তাই যাঁরা সংসারে এক শিশু৷ তাঁদের জন্য এমন বসন্তোৎসব আয়োজন করলে মন্দ হয় না ৷ ওরা যাতে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিলে একটু আবির খেলতে পারে ৷
প্র: বাঙালি মানেই তো খাওয়া-দাওয়া ৷ সে হোলি হোক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান হোক ৷ হোলিতে কী খাবার-দাবারের ব্যবস্থা থাকে ?
ডোনা: আমাদের বাড়িতে অনুষ্ঠান হয় হোলিতে ৷ সেখানে ফুচকা, ভেলপুরি, মুড়ি, আইসক্রিম ৷ এমন ধরনের খাবার থাকে ৷ একটু মুখরোচক হালকা খাবার থাকে ৷ যাতে ছোটরাও মজা করে খেতে পারে ৷
প্র: সানা তো অনেকটা বড় হয়ে গেল...
ডোনা: হাসি...
প্র: দোলে সানা কী করে ?
ডোনা: সানা প্রচুর রং খেলে ৷ আমি যে বসন্তোৎসবের অনুষ্ঠান করি, সেখানে ও নাচ করে ৷ বাড়িতে যে অনুষ্ঠান হয় সেখানে চুটিয়ে রং খেলে ৷ আমাদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে খেলে ৷ ওর বাবার সঙ্গে খেলে (হাসি)...দু’দিন পর ওর স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে খেলে ৷
প্র: পছন্দের রঙ কী?
ডোনা: যে কোনও ব্রাইট রংই পছন্দের ৷