হিচকি রিভিউ: চিত্রনাট্যে পুরনো হিচকি ! তবে মুগ্ধ করলেন রানি
কৌশিকের ‘দৃষ্টিকোণ’ ছবিটির মূল তিনটি চরিত্র জিয়ন (প্রসেনজিৎ), শ্রীমতি (ঋতুপর্ণা) ও রুমকি (চুর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়) ৷ তবে ঠিক এই তিনটে চরিত্রের পরেই যে চরিত্রটা চিত্রনাট্যে কৌশিক বুনেছেন স্বযত্নে , তা ছবিতে কৌশিকের নিজের চরিত্রটাই ৷ হয়তো ‘দৃষ্টিকোণ’ ছবিতে কৌশিককে অভিনয় হতবাক হয়ে দেখতে হয়৷
advertisement
একটা দুর্ঘটনা, মৃত্যু ৷ আর সেই মৃত্যুই হয়ে ওঠে দৃষ্টিকোণ ছবির গল্পের অনুঘটক ৷ গল্পটা একটু বলে নেওয়া যাক ৷ শ্রীমতির স্বামী প্রীতম (কৌশিক সেন) হঠাৎই দুর্ঘটনায় মারা যায় ৷ তবে শ্রীমতির (ঋতুপর্ণা) মনে হতে থাকে এই দুর্ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়, খুন হয়েছে প্রীতম ৷ আর সেই খুনের হদিশ করতে গিয়েই শহরের নামী আইনজীবী জিয়ন ওরফে প্রসেনজিতের সঙ্গে আলাপ হয় শ্রীতমা ওরফে ঋতুপর্ণা ৷ এরপর যা ঘটে, তা খুনের হদিশ কম, বরং একটা পরকীয়া প্রেমের গল্পই হয়ে ওঠে ৷ সঙ্গে প্রতীকি হিসেবে উঠে আসে প্রসেনজিতের চোখের সমস্যার কথা, যার সূত্র লুকিয়ে থাকে একেবারে ছবির শেষে !
অক্টোবর রিভিউ: কুয়াশা, শিউলি ও নিশ্চুপ ভালোবাসার গল্প
ছবির ক্লাইম্যাক্স না ফাঁস করাই ভালো, কারণ এই একটি মাত্র চমককেই এই ছবির তুরুপের তাস বানিয়েছেন কৌশিক ৷ আর সব কিছুই বড্ড একঘেঁয়ে ৷ এক স্বামী হারা স্ত্রীয়ের একাকীত্ব, সু-পুরুষ আইনজীবীর সঙ্গে সম্পর্ক ৷ একটা সংসার ভাঙার আঁচ ৷ সঙ্গে অবশ্য কৌশিক অঙ্গ পাচার ইস্যুকেও তুলে এনেছেন ছবির গল্পে৷
দৃষ্টিকোণ ছবিতে নতুনত্ব হয়ে উঠতেই পারত শুধু গল্প বলায় ৷ কারণ, এই ছবিতে অভিনয়ের দিক থেকে প্রসেনজিত, ঋতুপর্ণা নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন ৷ যা কিনা এই জুটি থেকে প্রত্যাশিত ৷ চুর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ও নিজের জায়গায় পারফেক্ট ৷ পরিচালকের থেকে এখানে দাগ কেটে যান অভিনেতা কৌশিক ৷ বহুদিন পর ছবিতে এলেও দোলন রায় নিজের দিক থেকে সঠিক ৷ অনুপম রায়ের সঙ্গীত ছবির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যথেষ্ট উন্নতমানের ৷ অসুবিধা শুধুই, ওই এক ঘেঁয়ামি সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে ৷ যাকে কৌশিক প্রকটে এনে, প্রচ্ছনে রেখে গিয়েছেন থ্রিলারের উপাদানকে ৷ কিন্তু অনায়েসে তিনি এর উল্টোটাই করতে পারতেন ৷ এই যা !