এরপর শুরু হয় তল্লাশি। অভিনেত্রীর ব্যাগ থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। কিন্তু শারীরিক তল্লাশির সময় ঝোলা থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ে। দেখা যায়, কোমর এবং ঊরুতে ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে মোড়া সোনার বার। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর জুতো এবং জামার পকেট থেকেও সোনা উদ্ধার হয়। অ্যারেস্ট মেমোতে এমনটাই জানিয়েছে রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর।
উল্লেখ্য, ৩ মার্চ সোনা পাচারের অভিযোগে বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় রানিয়া রাওকে। তাঁর কাছ থেকে ১৪.২ কেজির সোনার বার উদ্ধার হয়েছে। আপাতত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন কন্নড় অভিনেত্রী।
advertisement
রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের সাম্প্রতিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুবাইয়ের কাস্টমসে সোনা নিয়ে জেনেভা যাওয়ার কথা বলেছিলেন রানিয়া। কিন্তু পরে পরিকল্পনা বদলে তিনি ভারতে ফিরে আসেন। ২০২৪ সালের ১৩ নভেম্বর এবং ২০ ডিসেম্বর তিনি দুবাই থেকে সোনা কিনেছিলেন বলেও জানতে পেরেছেন রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা।
তদন্তে সোনা পাচারের কথা একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন রানিয়া। জানিয়েছেন, আগেও দু’বার দুবাই থেকে সোনা আনার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত রানিয়ার বিরুদ্ধে ৪.৮৩ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। তবে অভিনেত্রীর দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি স্বেচ্ছায় এই কাজ করেননি। তবে রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর এসব মানতে নারাজ। তাঁদের মতে, রানিয়া শুধু বাহক নন, সোনা পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্যও।
রানিয়া কর্ণাটক স্টেট পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (DGP) রামচন্দ্র রাও-এর সৎ মেয়ে। অভিনেত্রীর গতিবিধির উপর আগে থেকেই নজর ছিল কর্তৃপক্ষের। গত এক বছরে ৩০ বার দুবাই গিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ৪ বার দুবাই সফর করেছিলেন। এরপরই সন্দেহ গাঢ় হয়। বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে হাতেনাতে পাকড়াও করে ডিআরআই।
রানিয়াকে গ্রেফতারের পর তাঁর বেঙ্গালুরুর বাড়িতেও অভিযান চালায় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর। তল্লাশিতে ২.০৬ কোটি টাকার সোনার গয়না এবং নগদ ২.৬৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। রানিয়ার স্বামী যতীন হুক্কেরিও প্রায়ই দুবাই যাতায়াত করতেন। সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসাররা।