বললেন, '' অলিগলির ভুলভুলাইয়া পেরিয়ে ম্যাজিকের ডাকে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের (বাবার ) হাত ধরে প্রথম গিয়েছিলাম ফ্রিস্কুল ও রয়েড স্ট্রিট । তখন ম্যানড্রেক , ফ্ল্যাশ গর্ডন ও অরণ্যদেব জমানো ছিল এক অদ্ভুত অলৌকিক নেশা । সে সব জমিয়ে বাঁধিয়ে রেখে দিতাম দাদার জন্যে । নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে দাদা পড়তেন । হোস্টেলে থাকতেন , ছুটিতে বাড়ি এসেই কমিক্স নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন । বাবা কলকাতার মধ্যে কতগুলো যে অচেনা কলকাতা আছে আমাকে ছোট থেকেই চিনিয়েছিলেন ।সেই সময় সংবাদপত্রের রবিবারের পাতায় ধারাবাহিক লিখতেন বনেদি কলকাতার ঘরবাড়ি । যেটা আজও অন্যতম বেস্ট সেলার । আঠারো ও উনিশ শতকে কয়েকটি গ্রামপুঞ্জই আধুনিক কলকাতা শহরের রূপ নেয় । শ্ৰেষ্ঠী, বণিক, জমিদার ও ইংরেজ কত ব্যক্তিদের নিয়ে তিনটি গ্রাম আস্তে আস্তে কীভাবে মহানগরে রূপান্তরিত হল, তারই একটি রূপরেখা পাওয়া যাবে বাবার এই গ্রন্থে ।''
advertisement
আরও পড়ুন : ব্যবহৃত হয়নি কোনও নাটবোল্ট, ১০০ বছরের স্থায়িত্বের কথা ভেবে তৈরি হল নয়া টালা সেতু
আরও পড়ুন : বাবা মুখ্য বিচারপতির গাড়িচালক, জুডিশিয়ারি পরীক্ষায় ৬৬ তম স্থান পেয়ে মেয়ের স্বপ্ন বিচারপতি হওয়ার
এই অলিগলির ভুলভুলইয়া পেরোতে গিয়েই হঠাৎ আলাপ ভিস্তিওয়ালাদের সঙ্গে । ইন্টারনেট আসার আগে , টুলু পাম্পের যখন জন্ম হয়নি , তাঁরা কর্পোরেশনে চাকরি করতেন , বাড়িতে বাড়িতে মশক নিয়ে জল দিতেন । অন্তত ৫০জন ভিস্তি ছিলেন কলকাতায় । আজ সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ২-৫ এ । পরিচালকের কথায়, ‘‘ ভিস্তি চাচা ইসামুলকে বোঝাতে মাসের পর মাস সময় লেগেছে । শেষে বুঝেছিলেন আমরা ওনার জীবনের কথা পর্দায় তুলে ধরতে চাই আর কোনও উদ্দেশ্য নেই আমাদের । ভিস্তিদের নিজেদের গল্প ওয়াটারওয়ালা৷’’