পুরুষ হোক বা মহিলা, তাঁর ক্যারিশ্মা তাক লাগাত সবাইকে। নিজেকে কীভাবে আকর্ষণের কেন্দ্রে রাখতে হয়, সেটা শুরু থেকেই জানতেন উত্তম কুমার। কিছুদিন আগে এআই-এর কল্পনায় উত্তম কুমারের কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছিল। তখনই বোঝা গিয়েছিল, এখনও উত্তম কুমারের জন্য উন্মাদনা ঠিক কতটা!
নিজেকে লোকচক্ষু থেকে কিছুটা আড়াল করেই রাখতেন উত্তম কুমার। তিনি মনে করতেন, পর্দার নায়ক যখন তখন সামনে চলে এলে তাঁর স্টারডম-এ প্রভাব পড়ে। পর্দার নায়ককে একটু রাখঢাক বজায় রাখতে হয়। তিনি যে ভুল ছিলেন না, তা তাঁর স্টারডম দেখলেই বোঝা যেত।
advertisement
আরও পড়ুন- পর্দায় রণবীরের সঙ্গে মাখোমাখো দৃশ্য! বাস্তবে কেমন পুরুষকে পছন্দ ‘ভাবী ২’-র
‘দৃষ্টিদান’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি। সেই সিনেমার জন্য সাড়ে ১৩ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। ‘কামনা’ ছবিতে তিনি প্রথমবার নায়ক হওয়ার সুযোগ পান। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি মহানায়ককে।
ওই সিনেমায় নায়ক হিসেবে অভিনয় করার জন্য তিনি পেয়েছিলেন দেড় হাজার টাকা। কেরিয়ারের শুরুর দিকে উত্তম কুমারের কিছু সিনেমা ফ্লপ হয়েছিল। তবে তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘুরতে বেশি সময় লাগেনি। সাড়ে চুয়াত্তর সিনেমায় সুচিত্রা সেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। তার পর বাংলার সিনেমায় একের পর এক ইতিহাস লেখেন।
আরও পড়ুন- জনপ্রিয় নায়িকাকে ধর্ষণ? বন্ধুর বিরুদ্ধে FIR বিগ বস প্রতিযোগীর, টেলিপাড়ায় শোরগোল
একটা সময় তাঁকে নায়ক হিসেবে পাওয়ার জন্য প্রযোজকরা টাকার থলি নিয়ে ঘুরতেন বলে জানা যায়। জানা যায়, উত্তম কুমার যেটা চাইতেন সেটাই দিতে হত। দর কষাকষি তিনি পছন্দ করতেন না। একটা সময় প্রতি সিনোমর জন্য ২ থেকে ৩ লাখ টাকা নিতেন তিনি। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে সেই টাকা খুব কম বলে মনে হতে পারে। তবে সেই সময় ওই টাকার মূল্য নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন!