একটানা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে স্টার জলসার 'অনুরাগের ছোঁয়া' টিআরপির নিরিখে সকলকে পিছনে ফেলে বেঙ্গল টপার হতো। প্রথম থেকে দ্বিতীয় স্থানে নেমে এল মেগা। হঠাৎ করে পরপর দু'সপ্তাহে কমল নম্বর। ধারাবাহিকে সূর্য-দীপার ভুল বোঝাবুঝি মেটেনি এখনও। অন্য দিকে মিশকাও ধরা পড়ছে না। তাই কি দর্শক আগ্রহ হারাচ্ছে? পাশাপাশি জগদ্ধাত্রীর নম্বর কিন্তু বেড়েছে, এই পুরো বিষয়টা তিনি কী ভাবে দেখছেন প্রশ্ন করা হলে দিব্যজ্যোতি বলেন, "এখন আই পি এল চলছে, আর ধারাবাহিকটি টেলিকাস্ট হয় ৯:৩০ থেকে ১০:০০। এই সময়টা আইপিএল -এর খুব এনগেজিং টাইম। প্রথম ইনিংস শেষ ও দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর সময়। ফলে এই কারণে টিআরপি-তে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। আর জগদ্ধাত্রী খুবই ভাল কাজ করছে। তাদের নম্বর বেড়েছে কিছুটা বেড়েছে তারা নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে পেরেছে এটা সত্যি খুব ভালো ব্যাপার। আমি প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী নই। ভাল কাজে বিশ্বাসী। যদি প্রতিযোগিতায় বেশি মন দিই, তা হলে কাজ করার আগ্রহটা হারিয়ে যাবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: শোলাঙ্কির হঠাৎ বিদায়েই কি 'গাঁটছড়া' আবার সেরা দশে! এবার টিআরপি তালিকায় দারুণ চমক
প্রতিযোগিতা নয়, মন দিয়ে কাজ করায় বিশ্বাসী দিব্যজ্যোতি। তাঁর কথায়, "আমার বাবা একটা কথা সব সময়ই বলেন যে, আমার যাঁদের জন্য কাজ করছি, তাঁরা আমাদের ভগবান। আর এখানে তো দর্শকই ভগবান। ফলে তাদের কাছ থেকে এত ভালবাসা পাচ্ছি এটাই অনেক বড় পাওয়া আমার কাছে। আমার অন্য কারুর সঙ্গে নয় প্রতিদিন নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই চলে। মেকআপ রুমে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে বলি যে আগের দিন যতটা করতে পেরেছি, আজ যেনও তার থেকে আরও ভালভাবে পারি।"
চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ট্র্যাক বদল বা নতুন কোন টুইস্টের কথা কি ভাবছে? এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে অভিনেতার উত্তর "যে প্রথমে থাকে সে নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য লড়াই করে। যে দ্বিতীয়, সে প্রথমে আসার লড়াই করে। আর যে শেষে থাকে, সে শেষে না থাকার লড়াই চালায়। ফলে প্রতিযোগিতা তো থাকবেই। কিন্তু তা সুস্থ প্রতিযোগিতা। একটা কুড়ি মিনিটের এপিসোডের জন্য প্রতিদিন ৬০-৭০ জনের ঘাম ঝরায়। কিন্তু এই মূহুর্তে টিআরপি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা জন্য আলাদা করে কিছু ভাবা হয়নি। অনেক রহস্য আছে। ধীরে ধীরে জট খুলছে। আর সে ভাবেই গল্প এগোবে।"
আরও পড়ুন: TRP তালিকায় বিরাট অদলবদল! সূর্য-দীপা হারাল মুকুট! কে হল বেঙ্গল টপার? দেখে নিন
'অনুরাগের ছোঁয়া'য় কাজের অভিজ্ঞতা থেকে দিব্যজ্যোতি জানান, এই মেগাটির ক্ষেত্রে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কখনওই শিল্পীদের ওপর কোনওভাবে চাপ দেয়নি। এমনকি গল্প পরিবর্তনের জন্যও কোনও নির্দেশ দেয়নি। ফলে যে খাতে চলছে গল্প, সেই ভাবেই চলবে। বরং তাঁর পা ভেঙে যাওয়ার কারণে গল্পে সূর্যর অ্যাক্সিডেন্ট দেখানো হয়েছে। যাতে কাজ করতে গিয়ে তাঁর পায়ের উপর বেশি চাপ না পড়ে, সেই দিকে সব সময় নজর রাখে কতৃপক্ষ।