দেব-মিঠুন অভিনীত 'প্রজাপতি' ছবিটি এই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ছবি দেখানো হচ্ছে এই হলে। তালা খোলা হল বহু বছর ধরে বন্ধ থাকা এই প্রেক্ষাগৃহ। আর তারই ছবি তুলে পোস্ট করছেন নেটিজেনরা।
advertisement
আরও পড়ুন: টলি বনাম বলি যুদ্ধে নামব না, আগে নিজেদের মধ্যে বিবাদ মিটুক, পাঠান নিয়ে লিখলেন দিলখুশের পরিচালক রাহুল
দেবের একটি ফ্যানপেজ থেকে এই প্রেক্ষাগৃহের ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, 'শাহরুখ খানের 'পাঠান'-এর জন্য সারা ভারতবর্ষে ২৫টি সিঙ্গল স্ক্রিন আবার খুলেছে, খুবই আনন্দের বিষয়। কিন্তু সেখানে বাংলার কোনও হলের নাম না থাকায় কিছুটা হলেও দুঃখ পেয়েছিলাম ... কিন্তু সেই দুঃখ কিছুটা হলেও কমিয়ে দিল এই খবরটা .... এভাবেই আবার বাংলা জুড়ে ফিরতে থাকুক সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলো ... এই হলে আজ থেকে শুধুমাত্র 'প্রজাপতি' চলবে .... যারা চন্দননগরে বা কাছাকাছি থাকো , সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, শ্রী দুর্গা ছবিঘর-এ বাংলা সিনেমা দেখে আবার সিঙ্গেল স্ক্রিনের রমরমা ফিরিয়ে আনুন।'
প্রযোজক রানা সরকার এই ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে লিখেছেন, 'বন্ধ হয়ে যাওয়া এই সিনেমা হলটা খুলেছে বাংলা সিনেমার হাত ধরে।'
এদিকে শাহরুখের 'পাঠান' মুক্তি নিয়ে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কারণ সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত এই ছবির জন্য বাংলা ছবিগুলির শো সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন হলে। কোনও কোনও সিঙ্গল স্ক্রিনে আবার যশরাজ ফিল্মস নাকি 'নো শো'-এর শর্ত আরোপ করেছেন। অর্থাৎ 'পাঠান' চললে অন্য কোনও ছবি দেখানো যাবে না। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মুক্তি পাওয়া নতুন ছবিগুলি। তারই মাঝে চন্দননগরের এই হল খোলায় আনন্দ পেয়েছেন অনেকে।
অন্যদিকে দেশে সাড়ে পাঁচ হাজার এবং বিদেশে প্রায় আড়াই হাজার স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে 'পাঠান'। আর এই ছবির কারণে রোজগার বেড়েছে অনেক মানুষের। যে সমস্ত সিঙ্গল স্ক্রিন দিনের পর দিন তালাবন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেগুলির মালিক এবং কর্মচারীরা আবার কর্মসংস্থান হল বাদশার দৌলতে। শাহরুখ ছবি মুক্তির আগে সেই সব স্ক্রিনগুলির (মোট ২৫টি) একটি তালিকা দিয়ে ট্যুইটারে লিখেছিলেন, ‘‘ছোটবেলায় সমস্ত ছবি সিঙ্গল স্ক্রিনেই দেখেছি। ওইটা আলাদাই মজা। দুয়া, প্রার্থনা আর প্রেয়ার্স রইল, আপনারা আর আমি সকলেই যেন সফল হই। আবার করে দরজা খোলার জন্য অভিনন্দন।’’
যেখানে চলচ্চিত্র জগতে মাল্টিপ্লেক্স চলে আসায় সিঙ্গল স্ক্রিনের বাজার বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, সেখানে যশরাজ ফিল্মসের এই সিদ্ধান্তে নতুন করে আলোর মুখ দেবে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সিঙ্গল স্ক্রিন সংস্কৃতি।
এই প্রেক্ষাগৃহগুলির অধিকাংশ অবস্থিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বেশিরভাগই অবশ্য রাজস্থানে এবং উত্তরপ্রদেশে। রয়েছে জয়পুর শহরের জেম সিনেমা, এলাহাবাদের রাজকরণ সিনেমা, মুম্বইয়ের কার্নিভাল আর মল, ইনদওরের জ্যোতি সিনেমা, গোয়ার সিনেমকমলা পন্ডার মতো প্রেক্ষাগৃহগুলি। তালিকায় তার মধ্যে উত্তরাখণ্ড এবং ছত্তীসগড়ও রয়েছে।