ইস্ট ইন্ডিয়া টকিজ ও হোয়াইট আউল এন্টারটেনমেন্ট প্রযোজিত এই সিরিজটি পরিচালনা করছেন জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে দেবমাল্য গুপ্তা, অনুজয় চট্টোপাধ্যায়, পামেলা কাঞ্জিলাল, মল্লিকা মজুমদার, চৈতি ঘোষাল, মানস মুখোপাধ্যায়, সন্মিত্র ভৌমিক, পূজা সরকার এবং সবুজ বর্ধনের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের।
advertisement
চৈতী ঘোষাল
‘ডিটেক্টিভ চারুলতা’ সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। গল্প এবং সংলাপ লিখেছেন সৌমিত দেব। সিনেম্যাটোগ্রাফির দায়িত্বে রয়েছেন অনির। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন প্রাঞ্জল দাস। সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন শুভদীপ মুখোপাধ্যায়। আর এই সিরিজের সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন কৌস্তভ সরকার।
পরিচালক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
এই সিরিজের গল্প আবর্তিত হয়েছে প্রাইভেট ডিটেক্টিভ চারুলতা মিত্রকে ঘিরে। খুড়তুতো ভাই তপুও তাঁর ছায়াসঙ্গী। সাধারণত মামুলি কেসই আসে তাঁদের হাতে। তবে চারুর বিশ্বাস, একদিন ফেলুদা বা শার্লক হোমসের মতো তাঁরও নামডাক হবে। আর সেই সুযোগটা আসে তাঁর নতুন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাডির হাত ধরে। এরপর খ্যাতনামা তন্ত্রবিদ পরমা সেনের মৃত্যুতে রহস্য ঘনিয়ে ওঠে। সেই রহস্য উন্মোচন কি করতে পারবে চারু? এর উত্তর পেতে গেলে দেখতেই হবে ‘ডিটেক্টিভ চারুলতা’।
পামেলা কাঞ্জিলাল
পরিচালক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “ক্লিক-এর সঙ্গে গত পাঁচ বছরে এটি আমার পঞ্চম কাজ। আস্থা এবং ভালবাসার জন্য এই প্ল্যাটফর্ম এবং দর্শকদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। বেড়ে ওঠার সময় আমরা যে সমস্ত বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্য পড়েছি, ‘ডিটেক্টিভ চারুলতা’ সেগুলির প্রতি একটা শ্রদ্ধা। তরুণ গোয়েন্দা এবং কিশোর সহকারীকে নিয়ে রহস্য গল্প, যা আমরা গরমের ছুটি বা পূজাবার্ষিকীতে গোগ্রাসে পড়তাম। এখানে সেই চিরাচরিত গোয়েন্দা-কাহিনির সঙ্গে মিশে গিয়েছে আধুনিক সিনেমা সিরিজের নির্মাণশৈলী। এক কথায়, ‘ডিটেক্টিভ চারুলতা’ হল বাংলা পর্দায় প্রথমবারের জন্য ফ্যান ফিকশন ওয়েব সিরিজ।”
অভিনেত্রী সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। আর সেটা হয়েছে অসাধারণ কলাকুশলী ও আমার সহকর্মীদের জন্য। সেটে সবার মধ্যে যে আন্তরিকতা ছিল, তাতে আমাদের কাজের পরিবেশ আরও সহজ হয়েছে। জয়দীপদা সব রকম সাহায্য করেছেন, আমার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, চরিত্রটির একাধিক স্তর অনুভব করতে সাহায্য করেছেন। সবচেয়ে ভাল দিক হল, উনি আমাদের প্রচুর স্বাধীনতা দিয়েছেন।”
অভিনেতা অনুজয় চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “জয়দীপদার সঙ্গে এটা আমার তৃতীয় কাজ। ক্লিকের সঙ্গে সম্ভবত সপ্তম। এমন চরিত্র আগে করিনি। খুবই ভালবেসে বানানো আমাদের এই কাজ। এটা কেবল থ্রিলার হয়ে থাকেনি। বহু চরিত্রের আনাগোনা এই গল্পে। আমাদের আশপাশের সাধারণ চরিত্রগুলিই যেন অসাধারণ হয়ে উঠেছে এই সিরিজে।”
অভিনেত্রী মল্লিকা মজুমদারের কথায়, “ক্লিক-এর সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। স্বাভাবিক ভাবেই খুব উত্তেজিত ছিলাম। কারণ সব সময় ক্লিক-এর জন্য কাজ করতে চেয়েছি। এই প্রথম আমি একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছি, তাই এটি আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। আসলে টেলিভিশনে আমি যে চরিত্রগুলি করি, এটি তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।”
পূজা ও সনমিত্র
অনুজয় চট্টোপাধ্যায়
ক্লিক-এর ডিরেক্টর নীরজ তাঁতিয়া বলেন যে, “সমগ্র বিশ্বে যখন নারী দিবস উদযাপন হচ্ছে, তখন আমরা উপস্থাপন করছি এক ক্ষমতাবান নারী গোয়েন্দাকে। মধ্যবয়সী পুরুষদের আধিপত্যপূর্ণ গোয়েন্দা জগতে ডিটেকটিভ চারুলতা যেন এক নতুন দিশা দেখাবে। দর্শকরা এবারও এক জমজমাট থ্রিলারের প্রত্যাশা করতে পারেন!”