এই ছবির সবচেয়ে তাজা বিষয় হল এতে নারীবাদী ত্বত্ত প্রচারের কোনও প্রচেষ্টা নেই, নেই লিবিডো, অর্গাজম, জি-স্পট, সিঙ্গলহুড এবং বয়ফ্রেন্ড সম্পর্কে জ্ঞানগম্ভীর বক্তব্য। এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির পটভূমিতে তৈরি, এটি ইন-ফ্লাইট সুপারভাইজার গীতা শেঠি, সিনিয়র ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট জেসমিন রানা এবং জুনিয়র ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট দিব্যা বাজওয়ার কাহিনি ঘিরে আবর্তিত, যারা সবাই কোহিনূর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কাজ করে।
advertisement
গীতা তার প্রেমময় স্বামী অরুণের সঙ্গে থাকে যিনি ক্লাউড কিচেন চালান। জেসমিন তার দাদুর সঙ্গে থাকে এবং একদিন সে নিজের কোম্পানির খুলে একজন ধনী সিইও হতে চায়। সে স্ট্রিট স্মার্ট, স্যাসি এবং তার জীবনে অগ্রগতির জন্য নৈতিকতাকে লঙ্ঘন করতে তার মনে কোনও দ্বিধা নেই। দিব্যা স্কুল টপার ছিল এবং সবসময়ই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখত। তবে দুর্ভাগ্যবশত সে একজন এয়ারহোস্টেস।
পেশাদার ফ্রন্টে, তারা যে এয়ারলাইন কোম্পানির জন্য কাজ করে তারা দেউলিয়া হওয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য সহকর্মীদের মতো এই তিন কর্মীকে গত ছয় মাস ধরে তাদের বেতন দেওয়া হয়নি। গীতা, জেসমিন এবং দিব্যা ক্রমাগত এক উন্নত জীবনের সন্ধানে থাকে এবং তাদের বসের কাছ থেকে সোনার স্ল্যাব চুরি করতে প্রলুব্ধ হয়।
শুরু থেকেই এটি একটি অভিনব প্লট। এটাকে একটা ট্রেলব্লাজিং ফিল্ম বানানোর জন্য অনেক কিছু করা যেত। তবে চিত্রনাট্যে অনেক ফাঁক রয়েছে। এমনকি ২ ঘন্টা ৪ মিনিটের এই ছবিতে শুরুটা চমকদার হলেও শেষে স্যাঁতসেঁতে আতসবাজির মতো মিইয়ে গিয়েছে।
ক্রুকে সম্পূর্ণ কমেডি ছবি বলে মনে করা হয়। তবে ছবির দ্বিতীয়ার্ধে পৌঁছলে গল্প একঘেয়েমিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে বলে মনে হতে পারে।
ছবিতে টাবু, করিনা এবং কৃতীকে দেখতে অসাধারণ লাগছে। ছবির সহ-প্রযোজক রিয়া কাপুর এবং একতা আর কাপুর এবং সহ-লেখক নিধি মেহরা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কারণ ক্রু আধুনিক যুগের নারীবাদের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়নি। করিনাই চিত্রনাট্যের আখ্যানটিকে বেশ কয়েকটি স্তরে উন্নীত করেছেন। গীতা চরিত্রে টাবু গ্ল্যামারাস আর অভিনব। কৃতির চরিত্রের একটি সিনেমাটিক ব্যাকস্টোরি রয়েছে তবে লেখকরা দিব্যার অন্যান্য স্তরগুলি খোঁজার পরিবর্তে কেবল একদিকেই মনোনিবেশ করেছেন। রাজেশ শর্মা এবং তৃপ্তি খেমকরও ভাল অভিনয় করেছেন। অন্য দিকে, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বিজয় মাল্যর একটি প্রোটোটাইপ চরিত্র হিসাবেই থেকে গিয়েছেন।