চলতি বছরের ফোকাস কান্ট্রি ফ্রান্স। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন জুন মালিয়া এবং যিশু সেনগুপ্ত। সৌরভ এবং শত্রুঘ্নকে উত্তরীয় এবং পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মান জানালেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে মমতার পাশে দেখা যায় দেব, রঞ্জিত মল্লিক, মাধবী মুখোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে, সাবিত্রী চটোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীদের। সাবিত্রী এবং মাধবীকে সম্মান জানালেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঞ্চে চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে জড়িত সকল তারকার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন মমতা। বিদেশের অতিথিদের প্রতি ভালবাসা জানিয়ে নিজের বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায় উঠে আসে উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে তপন-মৃণাল-ঋত্বিক-সত্যজিতের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “সিনেমার কোনও সীমা নেই। এই পৃথিবী একটাই দেশ। আমরা সবাই এক।” মমতা জানান, আন্তর্জাতিক ছবির পাশাপাশি প্রচুর বাংলা ছবিও দেখানো হবে। চলতি বছরে শারীরিক অসুস্থার কারণে অমিতাভ বচ্চন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি। শত্রুঘ্নকে তাঁর উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
advertisement
মঞ্চে এসে বাংলা ছবির প্রতি নিজের ভালবাসার কথা বললেন সৌরভ। এমন এক চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানালেন মমতাকেও। তাঁর কথায় উঠে এল সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক থেকে শুরু করে ঋতুপর্ণ ঘোষ, সৃজিত এবং কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা।
বাংলার ভূমিপুত্র না হয়েও মঞ্চে বাংলায় কথা বললেন শত্রুঘ্ন। দুই প্রিয় অভিনেত্রী সাবিত্রী এবং মাধবী প্রতি সম্মান জানালেন তিনি। জানান, এফটিআইআইয়ের ছাত্র থাকাকালীন তাঁদের ছবি দেখেছেন তিনি। তাঁর অভিনয় জীবনে মৃণাল, ঋত্বিক, সত্যজিতের প্রভাবের কথা বলেছেন হিন্দি ছবির ‘শটগান’। আক্ষেপের সুরে বলেন, “জীবনে একটাই আফশোশ থেকে গেল। মানিকদার সঙ্গে কাজ করা হল না।” পাশাপাশি মমতার রাজনৈতিক যাত্রা এবং সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন। বাংলা ছবির প্রতি তাঁর আকর্ষণ এবং ভালবাসা ব্যক্ত করতেও ভুললেন না বর্ষীয়াণ অভিনেতা।