পড়ুয়াদের শুভকামনা জানিয়ে লিখলেন, ‘আমাদের সন্তানদের বলছি, সারা বছর যাই করে থাকো না কেন, এই কটা দিন ফাঁকি না দিয়ে, মনোযোগী হয়ে পরীক্ষাটা দাও। কারণ সব ভাল তার, শেষ ভাল যার। শুধু বাবা-মায়ের জন্য নয়, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে পড়ালেখার প্রয়োজন আছে, শিক্ষিত হওয়ার দরকার আছে। ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষাটা শেষ করো, দেখবে ভাল কিছুই তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।’
advertisement
আরও পড়ুন: শ্যুটে গিয়ে ডায়েটে ইতি! কঙ্গনা-সঞ্জয়, সকলেই বিকানেরি স্বাদের ভক্ত, কী আছে জানেন!
আরও পড়ুন: ফাঁকা পকেটেই মধুচন্দ্রিমা! গৌরী-শাহরুখের হানিমুনের প্রথম রাত কেমন কেটেছিল, জানলে আতঁকে উঠবেন
এক সময়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন চঞ্চল। তা ছাড়া তাঁর বাবাও একজন শিক্ষক ছিলেন। তাই মজা করে পোস্টের শেষে লিখলেন, ‘বি:দ্র: দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় ছিলাম তো, তাই একটু মাস্টারি করলাম আর কি!’
তবে অভিভাবকদের ভুলগুলি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেননি চঞ্চল। আর তাই লিখলেন, ‘আমরা কেউই মনে হয় এত ভাল স্টুডেন্ট ছিলাম না বা এসব পরীক্ষায় এত ভাল রেজাল্ট করিনি, যাতে সবাই তাঁদের সন্তানের কাছ থেকে গোল্ডেন জিপিএ আশা করতে পারি। হয়তো অনেক কষ্ট করে ওদের জন্য চেষ্টা করেছেন। আমাদের সকল সন্তানের মেধা সমান নয়। যে যার মেধা আর চর্চা অনুযায়ী ফলাফল করবে। পারলে ওদের মেধার ওপর আস্থা রেখে, মানসিক ভাবে সাপোর্ট দিন। কেউ একটি পরীক্ষায় একটু খারাপ করলে, পরের পরীক্ষায় যেন ভাল করতে পারে, সেই সহযোগিতা করুন। দয়া করে একটা কথা মনে রাখবেন, শুধু অ্যাকাডেমিক ভাল রেজাল্টই শেষ কথা নয়, তা দিয়ে পরিপূর্ণ মানুষও হওয়া যায় না। বরং সন্তানের আদর্শের জায়গাটা ঠিক করে দিন, এটা অভিভাবক হিসাবে সবার প্রধান দায়িত্ব। আমার মনে হয়, দেশে মেধাবী মানুষের চেয়ে সৎ মানুষের প্রয়োজন বেশি। পরীক্ষার টেনশনে ওদের মাথা গরম হলেও, আপনি আপনার মাথাটা ঠান্ডা রাখুন। গরম মাথায় ভাল কিছু হয় না।’