কিন্তু সেই সুকণ্ঠীই বেশ কুখ্যাত তাঁর প্রেম জীবনের জন্য। তিনি রূপ কুমার রাঠোড়। গজল এবং সুফি সঙ্গীতের জন্য পরিচিত রূপ কুমার আসলে শ্রাবণ রাঠোড়-বিনোদ রাঠোড়ের সহোদর। ‘অ্যায় যাতে হুয়ে লামহো..’, ‘সদে সে আতে হ্যায়..’, ‘সাঁওরে-সাঁওরে..’, ‘বরসাত কে মৌসম’ প্রভৃতি গানের জন্য তাঁর খ্যাতি।
advertisement
বিখ্যাত সঙ্গীত জুটি নাদিম-শ্রাবণের অন্যতম শ্রাবণ রাঠোড় এবং গায়ক বিনোদ রাঠোড় তাঁর সহোদর। অনুপ জালোটা তাঁকে সঙ্গীত দুনিয়া থেকে বের করে দেওয়ার সমস্ত চেষ্টা করেছেন এক সময়। পারেননি। নিজের গানের মধ্যে দিয়েই রাজত্ব করেছেন মানুষের হৃদয়ে।
কেরিয়ারের শুরুতে রূপ বলিউডের বিখ্যাত ভজন গায়ক অনুপ জালোটার দলে কাজ করতেন। তাঁর গুরু অনুপ জালোটার কাছ থেকে গানের সূক্ষ্মতা শেখার পাশাপাশি রূপ নিজেও অনুষ্ঠান করতেন। রূপ যখন অনুপ জালোটার দলে কাজ করতেন। সেসময়ই অনুপের স্ত্রী সোনালি শেঠের সঙ্গে আলাপ হয় রূপের। এই পরিচয় পরবর্তীকালে প্রেমে রূপান্তরিত হয়। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত অনুপ জালোটার দলে তবলা বাজাতেন রূপ। সেই সময় অনুপের দল আমেরিকায় একটি অনুষ্ঠান করার আমন্ত্রণ পান।
আরও পড়ুন– রাশিফল ২৪ জানুয়ারি; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ
সেই অনুষ্ঠানে স্ত্রী সোনালিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন অনুপ। রাজি হননি সোনালি। অনুষ্ঠানে যোগ দেননি রূপও। কারণ সেই সময়ই তাঁরা ঘর বাঁধার জন্য পদক্ষেপ করতে চেয়েছিলেন। রূপের হাত ধরেই অনুপের ঘর ছেড়েছিলেন সোনালি। সেটা ১৯৮৯ সাল, বিয়ে করেন রূপ-সোনালি। মাঝখানের চার বছর তাঁরা কেউ স্বীকার করেননি তাঁদের সম্পর্কের কথা। কিন্তু মিডিয়ায় এবিষয়ে কানাঘুষো চলতই।
এই সময় অভিযোগ ওঠে তিনি নাকি ইন্ডাস্ট্রিতে রূপের কাজ পাওয়া বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। যদিও সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।