দেশের কনিষ্ঠতম বিপ্লবী তিনি ৷ হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি পড়েছিলেন গলায় ৷ বয়স তখন মাত্র ১৮ বছর ৭ মাস ১১ দিন ৷ স্বাধীনতা আন্দোলনে ক্ষুদিরাম বসুর অবদান ভোলার নয় ৷ স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরে সেই বিপ্লবীর ছবিই স্থান পেল মার্কামারা দুষ্কৃতি ও সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় ! ওটিটি প্ল্যাটফর্মের এই জনপ্রিয় সিরিজের দৃশ্যটি নিয়েই ওঠে প্রবল সমালোচনার ঝড় ৷
advertisement
দৃশ্যটি দেখা গিয়েছে থানায় বসে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জেরা করছেন পুলিশ অফিসার অভয় প্রতাপ সিং ওরফে কুণাল খেমু (Kunal Khemu) ৷ পাশেই থানার দেওয়ালে অপরাধীদের ছবি আঁকা বোর্ডে লাগানো ক্ষুদিরাম বোসের চিরপরিচিত ছবিটি ৷ বাঙালি দর্শকদের তাঁকে চিনতে বিশেষ সময় লাগেনি ৷ এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাঙালি দর্শকেরা ৷ সেই দৃশ্যের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার শেয়ার করে চলে প্রতিবাদ ৷ ওঠে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি ব্যানের দাবি ৷
অবশেষে চাপের মুখে ক্ষমা চেয়ে দৃশ্যটি থেকে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ছবি ঝাপসা করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ৷ ট্যুইট করে বলা হয়, ভুলটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। কারও ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য প্রযোজক, পরিচালক বা ওয়েব প্ল্যাটফর্মের ছিল না। দৃশ্যটি ব্লার অর্থাৎ ঝাপসা করে দেওয়া হচ্ছে। নমল্কারের ইমোজি পোস্ট করে ট্যুইটটি শেয়ার করেছেন পরিচালক কেন ঘোষও।
জনৈক সৈয়দ নাজিয়া হাসান ওই দৃশ্যের ছবিটি ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘ওয়েব সিরিজ ‘অভয় টু’-তে দাগী অপরাধীর তালিকায় বাঙালি বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ছবি । (অবশ্য সিবিএসই কিংবা আইসিএসই-র পড়ুয়ারা ক্ষুদিরামকে চেনেন না।) তবে এখানে যদি আন্নাদুরাই, এমজি রামচন্দ্রণ কিংবা এনটি রামা রাওয়ের ছবি থাকত তাহলে দক্ষিণ ভারত কতটা ক্ষোভে ফেটে পড়ত বলুন তো!’
মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অভয় টু-এর সেই দৃশ্য ৷নেটিজেনদের রোষের মুখেই অবশেষে নির্মাতাদের ক্ষমাপ্রার্থনা ৷