সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রণবীর কাপুরের বাড়ির সামনের এই ধ্বংসলীলার ভিডিও পোস্ট করেছেন একজন পাপারাৎজি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বান্দ্রা অঞ্চলে অবস্থিত রণবীরের বাড়ির সামনে প্রকাণ্ড এক গাছ পড়ে। শিকড়-সহ উপড়ে পড়েছে ওই গাছটি। গাছের ডালপালাও এদিক-ওদিক ভেঙে পড়ে আছে। মাঝে মধ্যেই বান্দ্রার এই বাড়িতে কাজ দেখতে যেতে দেখা যেত রণবীর, নীতু কাপুর (Nitu Kapoor) ও আলিয়া ভাটকে (Alia Bhatt)। দিন কয়েক আগেই এখানে আসতে দেখা যায় রণবীর ও আলিয়াকে।
advertisement
তবে শুধু রণবীর কাপুরের বাড়ির সামনেই নয়, তাউকতাইয়ের তাণ্ডবলীলা চলেছে জিতেন্দ্র (Jeetendra) এবং একতা কপূরের (Ekta Kapoor) জুহুর বাড়ির সামনেও। বিধ্বংসী ঝড়ে গাছ পড়ে গিয়ে তাঁদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়েছে।
তবে জিতেন্দ্র এবং রণবীরের সম্পত্তির উপরেই একমাত্র প্রভাব ফেলেনি এই সাইক্লেন। সোমবার রাতে অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) জানান, ‘জনক’ (Janak) নামে তাঁর কার্যালয় বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছে। এদিন একটি ব্লগে বিগ বি লেখেন, "ঘূর্ণিঝড়ের মাঝে একটা অদ্ভুত নীরবতা রয়েছে .. সারাদিন ধরে চলছে প্রবল বৃষ্টিপাত .. গাছ পড়েছে, সমস্তদিকে ছিদ্রপথ তৈরি হয়ে গেছে, জনক অফিসে বন্যা হয়েছে” অভিনেতা জানান, জনকের ছাদ উড়ে যাওয়ায় তাঁর কয়েকজন কর্মীও ভিজে গিয়েছিলেন।
এই সাইক্লোন তার দাপট দেখিয়েছে কমল হাসনের (Kamal Haasan) কন্যা শ্রুতি হাসনের (Shruti Haasan) বাড়িতেও। তিনি বলেন, ঝড়ের গতিবেগ এতটাই বেশি ছিল যে তাঁর জানলা একপ্রকার ভেঙে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ৯টার দিকে গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়ে সাইক্লোন তাউকতাই। সেই সময়ে এই ঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু অংশেও তাণ্ডবলীলা চালায় এই ঘূর্ণিঝড়। টানা দু’দিন তাণ্ডবলীলা চালিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি এবার নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে মহারাষ্ট্রে উদ্ধারকার্য এখনও চলছে। ইতিমধ্যেই আরব সাগরে ভাসমান ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। সোমবার মুম্বই উপকূলের কাছে ‘পি ৩০৫’ নামের একটি বার্জ ডুবে যায়। সেখান থেকে অনেককেই উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিখোঁজও রয়েছেন অনেকে। তাদের খোঁজ চলছে।