পটনায় শোকজ্ঞাপনে সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ি গিয়েছিলেন শেখর সুমন ৷ সেখানেই এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে শেখর সুমন বলেন, ‘এতবার সিম বদল করতে কেন বাধ্য হয়েছিলেন সুশান্ত! তাহলে কি যা সন্দেহ করা হচ্ছে তাই ঠিক? সত্যি সত্যিই কোনও হুমকির মুখে পড়েছিলেন পর্দার ধোনি? নাকি কোনও গভীর সাংঘাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন তিনি? তাহলে কে রয়েছে এর পিছনে? কার হুমকির মুখে পড়ে এতবার সিম বদলেছিলেন সুশান্ত?’ একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য ও প্রশ্ন শোনা যায় শেখর সুমনের মুখে ৷ এদিনও বারবার সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেন শেখর সুমন ৷
advertisement
এর আগেও সুশান্তর দেহের পাশে কোনও সুইসাইড নোট বা পাওয়া থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের গলার দাগ নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তোলেন শেখর সুমন ৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শেখর দাবি করেন, ‘ কেউ এত ঘনঘন সিমকার্ড তখনই বদলায় যখন কাউকে এড়িয়ে চলতে চাই বা কেউ তাঁকে হুমকি দিলে তা থেকে বাঁচতেও এতবার সিমকার্ড বদলে থাকতে পারেন সুশান্ত ৷’ এখানেই শেষ নয়, শেখরের মতে, ‘সুশান্তের গোটা বাড়ি থেকে নাকি কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি ৷ সুইসাইড নোট নোট মিললে তো কেস ওখানেই শেষ হয়ে যেত ৷ যে ছেলে রাতে পার্টি করল, সকালে প্লে-স্টেশনে গেম খেলছিল, তারপর এক গ্লাস জুস চাইল ৷ জুল খাওয়ার পর বসে বসে তাঁর কী এমন মনে এল যে, সে ঠিক করল চল অনেক হল এবার আত্মহত্যা করি!’
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতদেহের গলার দাগের ছবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শেখর সুমন ৷ তিনি বলেন, ‘পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কুর্তার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত কিন্তু তাঁর মৃতদেহের ছবিতে গলায় যে দাগ দেখা গিয়েছে তা দেখে দড়ির দাগ বলেই মনে হয় ৷ কুর্তার ফাঁস হলে গলায় আরও চওড়া দাগ পড়ার কথা ৷’ সব মিলিয়ে শেখর সুমনের দাবি একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে ৷ সরকারের কাছে তিনি সিবিআই তদন্ত করানোর দাবিও তোলেন ৷ উল্লেখ্য, সাংবাদিক বৈঠকে সুশান্তের পিতাকে অভিনেতা জানান, প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুত যাতে ন্যায় পান তার জন্য তিনি ‘জাস্টিস ফর সুশান্ত’ ফোরাম শুরু করেছেন ৷