ক্রিপ্টোকারেন্সি-র মাধ্যমে ডার্ক ওয়েব থেকে মাদক কেনা, শাহরুখ পুত্রের বান্ধবী মুনমুন ধামেচার স্যানিটারি প্যাড এবং অন্তর্বাসে মাদক—সব মিলিয়ে এনসিবি অফিসারদের দাবি, প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন চমক আসছে এই তদন্তে। জেরায় মিলছে নতুন নতুন তথ্য। সব মিলিয়ে এখন ভালোমতোই বেকায়দায় শাহরুখ পুত্র ৷ তাঁর বিরুদ্ধে নানারকম প্রমাণই হাতে এসেছে এনসিবি-র হাতে ৷ তাই সহজে এই মামলা থেকে অব্যাহতি যে আরিয়ান পাচ্ছেন না, তা একপ্রকার নিশ্চিতভাবেই বলা যেতে পারে ৷ আরিয়ানদের থেকে তথ্য নিয়েই ড্রাগ মাফিয়াদের নেটওয়ার্কের হদিশ পাওয়ার চেষ্টায় এনসিবি ৷ জানা গিয়েছে, শাহরুখ পুত্র এক-দু’বার সরাসরি ‘ড্রাগ পেডলার’-দের কাছ থেকে মাদক কিনেছেন ৷ অধিকাংশ সময় বন্ধুদের কাছ থেকেই তিনি মাদক নিতেন ৷
advertisement
সময় এখন অত্যন্ত খারাপ শাহরুখ পুত্রের ৷ মাদক কাণ্ডে আপাতত এনসিবি-র হেফাজতেই রয়েছেন তিনি ৷ তাঁকে খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এরপর আরও কী প্রতিকূল পরিস্থিতি আরিয়ান খানের (Aryan Khan) জন্য অপেক্ষা করছে, তা হয়তো এখন তিনি নিজেও কল্পনা করতে পারছেন না ৷ অত্যন্ত বিপদেই পড়েছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন- বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবকের যৌনাঙ্গ কেটে পালাল একদল দুষ্কৃতী !
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো-র (NCB) পরে এ বার এই মাদক কাণ্ডে আসরে নেমেছে মুম্বই পুলিশও। গোয়াগামী ওই বিলাসবহুল ক্রুসে পার্টি আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ ৷ সবকিছুই তাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ এনসিবি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, আরিয়ান এবং অন্য অভিযুক্তদের কাছ থেকে যে ফোনগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি সব ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মাদক কাণ্ডের তদন্তে এই মোবাইলগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূত্র বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।