একসময়ে বলিউডে একটি প্রচলন ছিল। কোরিওগ্রাফারদের বলা হত মাস্টারজি। টিনসেল টাউনের তিনি শেষ মাস্টারজি ছিলেন। বলিউডি নাচের স্বতন্ত্র্য ঘরানা তৈরি করেন তিনি। তিনি সরোজ খান। ঘুঙরুর শব্দই যেন তাঁর প্রাণভোমরা, সেই তিনিই চলে গেলেন নিঃশব্দে। শেষের দিকে তাঁর হাতে কোনও কাজ ছিল না । বহুদিন পর গত বছর শেষ কাজ করেছিলেন করণ জোহরের ‘কলঙ্ক’ ছবিতে ।
advertisement
তিন বার জাতীয় পুরস্কার ও আট বার ফিল্মফেয়ার সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন সরোজ। পুরুষ তান্ত্রিক বলিউডে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি এক কথায় ছিল অনন্য। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া, ‘বেটা’, ‘তেজাব’, ‘চাঁদনি’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘পরদেশ’, ‘তাল’, ‘দেবদাস’, ‘হম দিল যে চুকে সনম’, ‘লভ আজকাল’, ‘মানিকার্নিকা’-য় সরোজ ফেলেছেন তাঁর নিজস্ব ছাপ। তাঁর শেষ ছবিতেও কাজ করেছেন প্রিয় ছাত্রী মাধুরীর সঙ্গে।
কিন্তু জ্যাজ, কনটেম্পোরারি, হিপহপ-এর ভিড়ে খানিক ম্লান হয়ে এসেছিলেন তিনি। বলিউড ঘরানার জন্মদাত্রী সরোজ’কে নিজেদের ছবিতে পেতে একসময় বহু নায়িকার মধ্যে ঝগড়াও হয়েছিল । শ্রীদেবী আর মাধুরী তারমধ্যে অন্যতম । কিন্তু শেষ বয়সে একবার এক সাক্ষাৎকারে সরোজ খান বলেছিলেন, সবার প্রয়োজন ফুরিয়েছে । তাঁকে আর কেউ ডাকেন না । তাঁর কাছে কোনও ফিল্মের অফার আসত না । তাই বলিউডের উঠতি নায়িকাদের ক্ল্যাসিকাল নাচের প্রশিক্ষণ দিতেন । এই নাচের স্কুল চালিয়েই দিন চলত তাঁর । সরোজের সেই সাক্ষাৎকার শুনে তাঁকে নিজের ছবিতে কাজ দেওয়ার কথা বলেছিলেন সলমন খান । তবে সেই কাজ বাকিই থেকে গেল ।