আইনজীবী জানান, দর্শকরা যদি সরাসরি যৌন মিলন বা সঙ্গমরত অবস্থায় পর্দায় কোনও যুগলকে দেখতে পান তবেই সেটাকে পর্ন (Pornography) বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। না হলে অন্য ভিডিও ‘ভালগার’ বা অশ্লীল ভিডিও বলে গণ্য হবে। 'পর্নোগ্রাফি' নয়।
একইসঙ্গে তাঁর জোরালো সওয়াল, পুলিশ কি খতিয়ে দেখছে আজকাল ওয়েব সিরিজে কী ধরণের কনটেন্ট দেখানো হয়? আইনজীবীর কথায় " ওয়েবের সেইসব ছবি যথেষ্ট অশ্লীল, কিন্তু অবশ্যই পর্ন নয়।এখানে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে দু’জন মানুষ সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে। সেটা না হলে কখনই তা পর্ন নয়।"
advertisement
এছাড়া পুলিশ ঠিক বৈধভাবে রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করেনি বলেও অভিযোগ তাঁর আইনজীবীর। তাঁর দাবি, ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪১ নম্বর নোটিসে সাক্ষর করানো হয়েছিল রাজ কুন্দ্রা। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪১ নম্বর নোটিসে সাক্ষর করার অর্থ তদন্ত প্রক্রিয়ায় যোগদানের জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও কেন রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করা হল, তার যৌক্তিকতাই খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
এদিকে মুম্বইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ মাস আগে ব্যবসা শুরু করেন রাজ। লন্ডনে বসবাসকারী ভগ্নিপতি প্রদীপ বক্সির সঙ্গে মিলে এই ব্যবসা করেন তিনি। গত বছর লকডাউনের পর থেকে রাজ কুন্দ্রার ব্যবসা কার্যত ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। সেই সময় ঘরবন্দি বহু মানুষ ওই ভিডিও দেখেই সময় কাটিয়েছিলেন। তাই এই ব্যবসা থেকে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছিলেন শিল্পার স্বামী।
অন্যদিকে, পর্ন ছবির রমরমা বেড়ে যেতেই গত বছরই গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল সংস্থা ‘হটশট’কে নিষিদ্ধ বলে জানায়। এরপর ‘প্ল্যান বি, বলিফেম’ নামে নতুন পর্ন অ্যাপ তৈরি করে রাজ। ভারত থেকে সব ভিডিও ‘হটশট’ অ্যাপে আপলোড করতে পারতেন না রাজ। ভগ্নিপতি প্রদীপের সংস্থা কেনরিন লিমিটেডকে ‘উইট্রান্সফার’-এর মাধ্যমে প্রদীপকে পাঠাতেন রাজ। তারপর তা আপলোড করা হত। অন্যদিকে, পর্ন তারকা পুনম পাণ্ডে এবং মডেল সাগরিকার পর বুধবার ফের এক মহিলা রাজ ও উমেশের বিরুদ্ধে তাঁকে নগ্ন হয়ে অডিশন দেওয়ার প্রস্তাব দেন বলেই অভিযোগ। এছাড়াও পর্ন দুনিয়ায় তাঁকে নিয়ে আসার জন্য আগেই রাজ্যের নাম উল্লেখ করেন শার্লিন চোপড়াও। সবমিলিয়ে ক্রমশ জটিল হচ্ছে এই মামলা।