এই ছবিতে কাজল যা যা পোশাক পরেছিলেন, সেটা তাঁর এথনিক স্যুট হোক বা ঝলমলে সবুজ রঙের লেহঙ্গা যা তিনি ‘মেহন্দি লাগাকে রাখনা’ গানের সঙ্গে পরেছিলেন, সবটাই পরে আইকনিক ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়ায়। তাই মণীশের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বইকি, তিনি ছাড়া এ অসম্ভব সম্ভব হত না!
মণীশ জানিয়েছেন, একটা ছবির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তার চিত্রনাট্য। সেটাকে একজন পরিচালক কী ভাবে পর্দায় নিয়ে আসছেন এবং কী ভাবে দৃশ্যায়ন করার কথা ভাবছেন সেটা একটা জরুরি দিক। ছবিটা সব দিক থেকেই একটা তরতাজা হাওয়ার মতো বলিউডে এসেছিল। তাই তাঁর কাছেও এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল এবং ভালো কাজ করার সুবর্ণ সুযোগও ছিল। পরিচালক যখন তাঁকে ছবির চিত্রনাট্য শোনান, তখন তিনি বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন। বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁকে এমন কিছু সৃষ্টি করতে হবে যা ইতিহাস তৈরি করবে।!
advertisement
১৯৯৫ সালের ২০ অক্টোবর এই ছবিটি মুক্তি পায়। কাজল ও শাহরুখ খান অভিনীত এই প্রেমের ছবিটি হিন্দি ছবির জগতে অন্যতম একটি সফল প্রয়াস। প্রয়াত অভিনেতা অমরিশ পুরী, ফরিদা জালাল, মন্দিরা বেদি, পরমিত শেট্টি এবং অনুপম খেরের চরিত্রও যথেষ্ট সমাদর পায় দর্শকদের কাছ থেকে। এই ছবির আরও একটি ইউএসপি ছিল যতীন-ললিত সুরকার জুটির অনবদ্য সঙ্গীত। যা আজও সমান জনপ্রিয়।
মণীশ জানিয়েছেন যে কাজলের কস্টিউম নিয়ে খুব খুঁতখুঁতে ছিলেন পরিচালক আদিত্য চোপড়া। তিনি চেয়েছিলেন কাজলের পোশাক হবে খুব সাদামাটা যাতে তাঁকে মাটির কাছাকাছি কোনও মানুষ বলে মনে হয়। আবার তার পাশাপাশি তিনি এটাও চেয়েছিলেন যে সেই পোশাক হবে স্বপ্নের মতো সুন্দর যা দেখে কাজলের বয়সী মেয়েরা নিজেদের সেই পোশাকে কল্পনা করতে পারেন। বলাই বাহুল্য মণীশ সেই কাজ খুব দক্ষতার সঙ্গে সম্পূর্ণ করেছিলেন।
মণীশের মতে, পরিচালক হিসেবে আদিত্য চোপড়া বুঝতেন যে সিনেমার কোন কোন দৃশ্য দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পারে। একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়ির রক্ষণশীল বাবার মেয়ে হিসেবে তিনি কাজলকে ঠিক যেমন দেখতে চেয়েছিলেন, মণীশ সে ভাবেই পোশাক তৈরি করেছিলেন। তাই কাজলের ইউরোপ ট্যুর থেকে শুরু করে ভারতে আসা পর্যন্ত প্রত্যেকটা পোশাক আমাদের মন কেড়ে নেয়।