আরও পড়ুনঃ জাতীয় পুরস্কার জয়ীর দেহ পড়ে স্টুডিওতে, ভোররাতে হঠাৎ তোলপাড় পড়ে গেল বলিউডে
প্রাথমিক ভাবে নীতিনের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তিনি৷ তেমন কোনও কাজ পাচ্ছিলেন না, সেই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হতে পারেন৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ একটি সুইসাইড নোট পেয়েছেন ঘটনাস্থল থেকে৷ সেই কারণে নীতিন আত্মহত্যা করেছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে, কিন্তু পুলিশ নিশ্চিত করেনি৷
advertisement
আর্ট ডিরেক্টরের স্টুডিও-র এক প্রত্যক্ষদর্শী ময়ূর ডোংরে বলেন, ‘নিতিন দেশাই এনডি স্টুডিওর অভ্যন্তরে ৬ নম্বর সেটে গভীর রাতে পর্যন্ত একটি বড় ধনুক এবং তীর তৈরির কাজ করেছিলেন। ধনুক এবং তীরের কাজ যেখানে করছিলেন সেখানেই পরে তিনি আত্মহত্যা করেন।’
একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ নীতিন দেশাইয়ের স্টুডিওতে একটি ভিডিও রেকর্ডিং খুঁজে পেয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে একটি সূত্র পুলিশকে জানিয়েছেন যে নীতিন দেশাইয়ের আগে থেকেই সেদিন কিছু করার পরিকল্পনা ছিল। সূত্রের খবর “মঙ্গলবার রাতে যে সিকিউরিটি ছিল তাঁর থেকে সমস্ত চাবি নিয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর কর্মীদের বলেছিলেন যে তাঁকে স্টুডিওতে একা রেখে যেতে কারণ তাঁর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে।”
সূত্রের আরও দেওয়া তথ্য অনুসারে, নীতিন তাঁকে গেট পর্যন্ত ছাড়তে এসেছিলেন এবং বলেছিলেন পরের দিন সকাল ৮ টায় এসে রেকর্ডিং দেখতে, যা তিনি ১০ নম্বর স্টুডিওতে পাবেন। রেকর্ডিংয়ে, নিতিন উল্লেখ করেছেন যে তাঁর স্টুডিওগুলি যেন তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া না হয়। এবং তিনি তাঁর শেষ ইচ্ছে প্রকাশ করে বলেছেন যে তাঁর শেষকৃত্য যেন স্টুডিও নং ১০ এ অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৮৯ সালে শিল্প নির্দেশক হিসাবে বিটাউনে তাঁর হাতেখড়ি৷ এর পর একে ১৯৪২: এ লাভ স্টোরি, খমোশি, প্যায়ার তো হোনা হি থা, হাম দিল দে চুকে সনম, মিশন কাশ্মীর হয়ে একেবারে অধুনা পানিপত পর্যন্ত কাজ করেছেন তিনি৷ তিনি চারটি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন৷ বাবা সাহেব আম্বেদকর ছবিটির পাশাপাশি হাম দিল দে চুকে সনম, লগান, দেবদাস ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন নীতিন৷ ছবিও পরিচালনা করেছেন তিনি৷ ২০১১ সালে হ্যালো, জয় হিন্দ নামে একটি ছবির নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি৷ অভিনয়ও করেছিলেন৷