গত ৮ অক্টোবর থেকে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে রয়েছেন আরিয়ান খান। গত ২ অক্টোবর প্রমোদতরীরে মাদক বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় এনিসিবির হাতে আটক হন আরিয়ান। গত সপ্তাহেই আদালতে তাঁর জামিন নামঞ্জুর হয়ে গিয়েছিল। তবে এদিন রায় শুনিয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ও বুধবার পরপর দু'দিন আরিয়ানের জামিনের শুনানি স্থগিত রাখেন বিচারপতি নিতিন সাম্বর। বুধবারই আদালতের কাছে ১ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন এনসিবির আইনজীবী অনিল সিং। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটেয় শুরু হয় আরিয়ানের শুনানি। বুধবার আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার আইনজীবীর পক্ষের কথা শোনার পরই তিন অভিযুক্তের জামিনের শুনানি ফের স্থগিত রাখেন বিচারক। বৃহস্পতিবার ফের শুরু হয় শুনানি। দু পক্ষের সওয়াল জবাবের পর অবশেষে জামিন পেলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান।
advertisement
আরও পড়ুন: জামিন পাবেন শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান? বম্বে হাইকোর্টে সওয়াল করবেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল রোহাতগি!
বম্বে হাইকোর্টে আরিয়ানের আইনজীবী প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি দাবি করেন, আরিয়ানের সঙ্গে আটক হওয়া যে ৫ জনের থেকে মাদক পাওয়া গেছে তার দায় আরিয়ানের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে এনিসিবি। তাঁর দাবি, আরিয়ান জানতেনই না, তাঁর সঙ্গে যাঁরা ওই পার্টিতে রয়েছেন, তাঁদের কাছে মাদক আছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, অচিতের থেকে মাত্র ২.৪ গ্রাম মাদক পাওয়া গেছে। একজন মাদকপাচারকারীর কাছে মাত্র ২.৪ গ্রাম মাদক থাকা কি যুক্তিযুক্ত, প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল রোহতগি।
আরও পড়ুন: হল না জামিন, আজও জেলেই থাকবেন আরিয়ান খান! কাল ফের হাইকোর্টে মাদক-মামলার শুনানি
এ নিয়ে প্রায় ২৬ দিন ধরে হেফাজতে রয়েছেন আরিয়ান খান। আজ তৃতীয় দফার শুনানির দিন বম্বে হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করে আরিয়ান খান এবং তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার। তবে জামিন মঞ্জুর হলেও এদিন বিস্তারিত রায় দেয়নি আদালত। তাই আজই জেল থেকে ছাড়া পাবেন না আরিয়ানরা। আগামিকাল জামিন মঞ্জুরের বিস্তারিত কারণ জানানোর পরেই আর্থার রোড জেল থেকে ছাড়া পাবেন আরিয়ান।