মিলিন্দ জানিয়েছেন তাঁর খাবারে চিনির কোনও জায়গা নেই। চিনি তিনি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন। বরং ডায়েটে ফল সবজি এইসবই বেশি থাকে। এছাড়াও আরও একটি বিশেষ তথ্য শেয়ার করেছেন মিলিন্দ। তিনি জানিয়েছেন, সব সময়েই স্বাভাবিক তাপমাত্রা বা রুম টেম্পারেচর-এর জল পান করেন। ঠান্ডা জল, সরবত এড়িয়ে চলেন মিলিন্দ। সারা বছরে এক থেকে দুবার মদ্যপান করেন। ডেজার্ট জাতীয় কোনও মিষ্টি খাবার তিনি খেলে তা গুড় দিয়ে তৈরি হয়।
advertisement
মিলিন্দ নিজের একটি ছবি শেয়ার করে ডায়েট চার্ট প্রকাশ্যে আনেনষ ছবিতে দেখা যাচ্ছে উন্মুক্ত সুঠাম চেহারার মিলিন্দ হাতে খাবারের থালা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সেই ছবির ক্যাপশনেই তিনি কী কী খান তা বিশদে জানিয়েছেন।
মিলিন্দ লিখছেন, "অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন আমি কি খাই? তাঁদের জন্য রইল। এই খাবারই আমি খাই সাধারণত। তবে কোথায় আছি বা কী খাবার রয়েছে তার উপরে খাবার বদলাতে পারে। আমি ঘুম থেকে উঠেই ৫০০ মিলিলিটার জল খাই যা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকে। সকাল ১০ টায় ব্রেকফাস্ট করি। ব্রেকফাস্টে থাকে কয়েক রকমের বাদাম, একটা পেঁপে, একটা লেবু, আর আমের মতো চারটে মরশুমি ফল।"
দুপুরে কী খান তাও জানিয়েছেন মিলিন্দ। তিনি লিখছেন, "দুপুর ২টো নাগাদ চালে ডালে খিচুড়ি খাই। সঙ্গে স্থানীয় ও মরশুমি সবজি থাকে। সঙ্গে ২ চা-চামচ ঘিও থাকে। আবার কখনও চালের বদলে ৬টা রুটি খাই। তার সঙ্গে সবজি ও ডাল থাকে। খুব কম, হয়তো মাসে একবার চিকেন বা মাটনের এক টুকরো খাই অথবা একটা ডিম খাই।"
বিকেল ৫টা নাগাদ গুড় দেওয়া এক কাপ চা খান মিলিন্দ। তবে ডিনার সারেন সন্ধে ৭টায়। ডিনারে সাধারণত এক প্লেট সবজি খান। যদি খুব বেশি খিদে পায় তাহলে খিচুড়ি খান তিনি। তবে আমিষ খাবার খান না। রাতে শোওয়ার আগে এক কাপ গরম জলে হলুদ ও গুড় মিশিয়ে খান তিনি। প্যাকেটের খাবার বা প্রসেসড ফুড একেবারেই এড়িয়ে চলেন মিলিন্দ। এছাড়া অতিরিক্ত ভিটামিন বা অন্যান্য সাপ্লিমেন্টস খান না। গত মাসে কোভিড (Corona) আক্রান্ত হয়েছিলেন মিলিন্দ। কোয়ারেন্টাইনেও এই একই ডায়েট বজায় রেখেছেন তিনি। শুধু এর সঙ্গে দিনে চার বার কাড়হা পান করেন।