শঙ্কর বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লকডাউনে যাতে তাঁরা ভালো থাকেন সেই জন্য তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর জন্য জোর করে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে ছিলেন সিদ্ধার্থ। বলেছিলেন তাঁরা যেন ভাল থাকেন। ২০১৬ সালে প্রয়াত হন প্রত্যুষা। পুলিশ জানিয়েছিল অভিনেত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। তারপর থেকে প্রত্যুষার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন সিদ্ধার্থ। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে সিদ্ধার্থ প্রায়ই জানতে চাইতেন, তাঁদের কোনও সাহায্য চাই কি না।
advertisement
সংবাদমাধ্যমের কাছে শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, "আমি বুঝতে পারছি না এটা কীভাবে ঘটল। আমি ওকে নিজের ছেলের মতো দেখতাম। বালিকা বধূর সময়ে প্রত্যুষা ও সিদ্ধার্থ খুব ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। ও প্রায়ই বাড়িতেও আসতো। প্রত্যুষার মৃত্যুর পরে ওর এবং সিদ্ধার্থের সম্পর্ক নিয়েও অনেকে বহু কথা বলেছিলেন। সেই জন্য সিদ্ধার্থ বাড়িতে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত মেসেজ করে জিজ্ঞাসা করতেন আমার কোনো সাহায্য চাই কিনা।"
আরও পড়ুন- সিদ্ধার্থের আগে প্রত্যুষারও অকালমৃত্যু, 'বালিকা বধূ' যেন অভিশপ্ত মৃত্যুফাঁদ
তিনি আরও বলছেন, "লকডাউনে ও নিয়মিত আমার খোঁজ খবর নিয়েছে। কয়েক মাস আগেই আমি ওর থেকে শেষবারের মতো মেসেজ পেয়েছিলাম। মেসেজ করে ও আমায় জিজ্ঞাসা করত, 'আঙ্কেল আন্টি আপনাদের কোনও সাহায্য লাগবে? আপনারা ভালো আছেন তো? আমি কি কোনও ভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি?' তারপরে ও জোর করে আমাদের ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিল।"
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ৩টে নাগাদ শারীরিক অস্বস্তি অনুভব করেন সিদ্ধার্থ। তাঁর মাকে জানান। তারপর জল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু পরের দিন তিনি আর ঘুম থেকে ওঠেননি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানানো হয়, তিনি আর নেই। শুক্রবার সিদ্ধার্থের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় মুম্বইয়ের ওসিওয়ারা শ্মশানে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর পরিবার বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীরা। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সিদ্ধার্থের বান্ধবী শেহনাজ গিল।
তবে সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পরে নেটিজেনদের মধ্যে একটি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। ২০১৬ সালে অকালে চলে গিয়েছিলেন প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালিকা বধূ ধারাবাহিকে প্রধান নায়িকার চরিত্রে ছিলেন তিনি। এই বছরই কিছুদিন আগে সেই ধারাবাহিকের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দাদিসা-ও প্রয়াত হয়েছেন। এই চরিত্রে অভিনয় করতেন সুরেখা শিকরি। আর এবার ধারাবাহিকের প্রধান নায়ক সিদ্ধার্থ চলে গেলেন। আর তাই প্রশ্ন উঠছে এই ধারাবাহিকেই কি রয়েছে কোনো অশুভ মৃত্যুফাঁদ?