কঙ্গনা এদিন টুইট করেন, "প্রিয় সুশান্ত, মুভি মাফিয়ারা তোমায় নিষিদ্ধ করল, তোমায় নিয়ে মজা করল। সোশ্যাল মিডিয়া তুমি একাধিকবার সাহায্য চেয়েছ। আমার অনুতাপ হয় তোমায় সাহায্য় না করতে পেরে। এই মুভি মাফিয়াদের অত্যাচার সহ্য করার মতো শক্তিশালী তুমি, এমন না ভাবলেই ভালো হতো। তোমায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা।"
পরের টুইটে কঙ্গনা লেখেন, "সবকিছুর উপরে আজকের দিনে সুশান্তের জীবনটা উদযাপন করুন। কাউকে বলার সুযোগ দেবেন না যে আপনি যথেষ্ট ভালো নয়। নিজের থেকে কাউকে বেশি বিশ্বাস করবেন না। যারা বলে ড্রাগই সবকিছুর সমাধান, তাদের ছেড়ে দিন। নিজেকে আবেগের দিক থেকে, আর্থিক দিক থেকে ব্যবহৃত হতে দেবেন না।"
advertisement
এর পরের টুইটেই ফের স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে টেনে এনেছেন কঙ্গনা। আবার করন জোহর ও আদিত্য চোপড়াকে আক্রমণ করেছেন তিনি। অভিনেত্রী লিখছেন, "আমি যথেষ্ট বলেছি। কিন্তু এখনও বিষয়টা যথেষ্ট হয়নি। সুশান্ত খুনের কালানুক্রম- ১) নিজের ক্ষমতায় নিজেকে গড়ে তোলা সুশান্ত চোপড়াদের ধনতান্ত্রিক চুক্তিতে রাজি হয়নি। তাই তারা সুশান্তকে ধ্বংস করতে প্রতিজ্ঞা করে। ২)কেজেও (করণ জোহর) ও আদিত্য চোপড়া, নেপোটিজম এর ধ্বজাধারীরা ধোনি হিট করার পরে সুশান্তকে বাদ দিয়ে দেয়। এতে সুশান্ত দুঃখ পেয়েছিল।"
এর পরে কঙ্গনা আরও লেখেন, "৩) সুশান্তের বিরুদ্ধে মাফিয়াদের জনসংযোগকারীরা ভুল ও অপমানজনক খবর ছাপায়। ওকে মাদকাসক্ত ও ধর্ষকের তকমা দেয়। ৪)এর পরেই মহেশ ভাট ওর জীবনে আসে এবং বার বার বোঝাতে থাকে সুশান্তের পরিণতি পারভিন বাবির মতো হবে কারণ ও অবসাদগ্রস্ত ছিল। ভাট সাব সব অবসাদগ্রস্ত মানুষের পরিণতিই যদি পারভিন বাবির মতো হয় তাহলে আপনার মেয়ে শাহিন ভাটেরও একই পরিণতি হবে।"
প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুর পরে স্বজনপোষণ বিতর্ক নিয়ে সরব হয়েছিলেন কঙ্গনা। বার বার তাঁর নিশানায় পড়েছেন করণ জোহর, মহেশ ভাট ও আদিত্য চোপড়া।