কঙ্গনার কথায়, “আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের দিনে আমি নিজের কিছু গল্প ভাগ করে নিতে চাই, প্রত্যেকেই জানেন আমি শরীরচর্চার অঙ্গ হিসেবে যোগব্যায়াম শুরু করেছি, কিন্ত কখন এবং কেন করেছি তা হয় তো অনেকের জানা নেই। আসলে আমার মায়ের কয়েক বছর আগে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, কোলেস্টেরলের মতো রোগগুলি ধরা পড়ে। চিকিৎসক বলেন ওপেন হার্ট সার্জারি করতে। আমি মায়ের সর্জারির কথা শুনে ভয় পেয়ে যাই। সেই সময়ে আমি মায়ের কাছ থেকে ২ মাস চেয়ে নিই। অবিরাম যোগচর্চা করানোর পর আমি আমার মাকে সুস্থ করতে পেরেছি, এখন আমার মা পুরো সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। প্রত্যেকদিন আমার মা-বাবা যোগচর্চা করেন। এখন মনে হয়, আমি আমার পরিবারকে একটা বড় উপহার দিতে পেরেছি, যেটা হল যোগাভ্যাস। প্রতি দিন সকালে আমি মা-বাবাকে জিজ্ঞেস করি তাঁরা আজ যোগা করেছেন কি না। মা-বাবা আমার সঙ্গে থাকেন না, তাঁরা হিমাচলে থাকেন, তবে নিজের যোগচর্চার ছবি আমাকে তুলে পাঠান নিয়ম করে”।
advertisement
এই কথাগুলি বলতে বলতে তিনি নিজের সম্বন্ধে আরও অনেক কথা বলেন। কঙ্গনা বলেন, “আমি এক সময় জীবনের উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলেছিলাম। এই সময় ফ্যাশন ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। আমি ভেঙে পড়েছিলাম, বাঁচার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেছিলাম, মাঝে মাঝে মনে হত কেন আমি জন্মেছি? এই সময় হঠাৎ আমার গুরুজি সূর্য, আমাকে দিশা দেখান। স্বামী বিবেকানন্দের বাণীর শিক্ষা দেন। এই ভাবে ধীরে ধীরে আমি স্বাভাবিক হয়ে উঠি ও রাজযোগ শুরু করি।” এবার তিনি একটু হেসে বলেন, “আমি এক দু-বছর সন্ন্যাসীর জীবনযাপন করেছি। আমি কুণ্ডলিনী যোগও করেছি এবং চক্র শিক্ষার পাঠও নিয়েছি”।