ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে জসলিনের হাতে চ্যানেল করা। তিনি বলছেন, "যেদিন সিদ্ধার্থের মৃত্যু হল আমি গেলাম ওদের বাড়ি খবর পেয়ে। মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি এমনিতেই বিদ্ধস্ত ছিলাম। এর পরে ওর পর বাড়ির পরিবেশ দেখে আরও খারাপ লাগছিল। শেহনাজ ও আন্টির সঙ্গে দেখা করে যখন বাড়িতে ফিরলাম, দেখলাম আমার কাছে কিছু মেসেজ এসেছে। কিছু মেসেজে লেখা, 'তুমিও মরে যাও'। এই প্রথম আমার জীবনে কিছু এমন ভাবে আঘাত করল। সত্যই জীবনের কোনও নেই নিশ্চয়তা নেই। সব কিছুই খুব অদ্ভুত। আমি তার পর জানি না কী হল। জ্বর হল। দেখলাম আমার ১০৩ টেম্পারেচার হয়েছে। গতকাল আমায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হল। সবাই নিজের খেয়াল রাখুন। প্রার্থনা করুন, যাতে আমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারি।"
advertisement
ভিডিওটি শেয়ার করে জসলিন লিখেছেন, আমি তাড়াতাড়িই সুস্থ হয়ে ফিরব। সবাই নিজের খেয়াল রাখুন। শেহনাজের সঙ্গে দেখা করে এসে জসলিন জানিয়েছিলেন, "আমি শেহনাজের (Shehnaaz Gill) সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু ও ভালো নেই। ও এক জায়গায় স্তব্ধ হয়ে বসেছিল।ও যেন সব কিছু হারিয়ে ফেলেছে। ওর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ও শুধু ওর পাশে বসতে বলল। ও খুব ভেঙে পড়েছিল। আমি ওকে ঘুমোতে বললাম। ও এত বিদ্ধস্ত ছিল যে ঘুমিয়ে পড়ল। আমি ওর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করলাম। ও শেহনাজের খেয়াল রাখছিল।" সিদ্ধার্থের মায়ের সঙ্গেও দেখা করেন জসলিন।
আরও পড়ুন- দিদি শিল্পার সম্বন্ধে নিয়ার কাছ থেকে কী জানতে চাইছেন সমিতা ?
বুধবার মধ্যরাতে বুকে ব্যথা অনুভব করেন সিদ্ধার্থ। তার পরে মা কে জানান ও জল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন তিনি ঘুম থেকে না উঠলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কুপার হাসপাতাল জানায়, তিনি মারা গিয়েছেন। পরের দিন ওশিওয়ারাতে তাঁর শেষকৃত্য হয়।
আরও পড়ুন- অক্ষয় কুমারের মা আইসিউ-তে! তড়িঘড়ি দেশে ফিরলেন অভিনেতা
সম্প্রতি টেলিভিশনে শেহনাজের সঙ্গেই শেষবার দেখা গিয়েছে সিদ্ধার্থকে। রিয়্যালিটি শো ডান্স দিওয়ানে ৩, সানডে কা ভার এবং বিগ বস ওটিটি-তে একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন সিদ্ধার্থ ও শেহনাজ। সেখানেও দুজনের রসায়নে মুগ্ধ ছিলেন দর্শকরা। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে 'বাবুল কা আঙ্গান ছুটে না' ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয় জগতে পা দেন সিদ্ধার্থ। এর পরে 'আহাট', 'সিআইডি'র মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। তবে 'বালিকা বধূ' ও 'দিল সে দিল তক' ধারাবাহিকে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান।