সবার প্রথমেই এটা জানিয়ে রাখা উচিত হবে যে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যে গুজব ছিল, তা নায়িকা অস্বীকার করেননি, এক রকম দেখতে গেলে মেনেই নিয়েছেন! “সেই সময়ের ট্যাবলয়েডগুলো যদি খোলা হয়, দেখবেন প্রায় সব অভিনেতার সঙ্গেই আমার নাম জড়ানো হয়েছে”, দাবি আয়েষার। এর পরেই অক্ষয় কুমার প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, “আমরা খুব ভাল বন্ধু ছিলাম, সম্পর্কটাও খুব মজার ছিল। যখন কারও সঙ্গে সাত-আটটা ছবি করা হচ্ছে, তখন তিন-চারদিন অন্তর অন্তর সেটে দেখা হয়ে যাবেই! ওই সময়ে ব্যাপারটা এতটাই সাদাসিধে ছিল, এর বেশি কিছু নয়। আমার এখনও মেয়ে বন্ধুর চেয়ে ছেলে বন্ধুর সংখ্যা বেশি, তার মানে এই নয় যে সবার সঙ্গেই আমার একটা রোম্যান্টিক সম্পর্ক আছে”!
advertisement
আয়েষা কি তাহলে আসল কথাটা চেপে গেলেন? প্রশ্নটা উঠতেই নায়িকার সাফ জবাব, “আজকালকার দিনে এই সব লুকানোর তো কিছু নেই, ওই সময়টা আমরা পেরিয়ে এসেছি”! এক ধাপ এগিয়ে এবার অক্ষয় কুমারকে নিয়ে তাঁর অকপট জবানবন্দি, “একটা আকর্ষণ হয়তো ছিল, কিন্তু সেটা থাকাই তো স্বাভাবিক! আমরা দুজনেই একে অপরকে খুব পছন্দ করতাম। কিন্তু টানটা শুধুই শারীরিক নয়, শারীরিক আকর্ষণ বলে একে দাগিয়ে দেওয়াটা উচিত হবে না”!
অক্ষয় কুমার আর তাঁর সম্পর্ককে প্রকারান্তরে স্বীকৃতি দিলেও নানা পটেকরের সঙ্গে যে কিছু ছিল না, তা নায়িকা বেশ জোর গলায় বলেছেন। এও বলেছেন যে মণীষা কৈরালা আর নানা পটেকরের সম্পর্ক ভাঙার নেপথ্যে তিনি ছিলেন না। “এর মধ্যে সম্পর্কের কোনও ব্যাপারই নেই। আমরা একসঙ্গে একটা ফটোশ্যুট করেছিলাম, এর পরে ওঁর সঙ্গে আমি একটা নাটকেও অভিনয় করি। ওঁর বয়সটা তো দেখুন! সমবয়সী নায়কদের সঙ্গে সম্পর্কের গুজবটা আমি তাও একরকম বুঝি, কিন্তু যাঁরা বয়সে বড়, তাঁদের বিষয়ে এই সব নিয়ে কথা বলতেও আমার বিরক্ত লাগে। মণীষা কৈরালা যে ওঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, এর মধ্যে আমার কোনও ভূমিকা ছিল না”, পুরনো গুজবে ইতি টানতে চেয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়েও তাঁর দাবি এটাই! “ওঁর মতো কিংবদন্তি সিনিয়র অভিনেতার সঙ্গে আমার নাম জড়ানোটা খুব অস্বস্তিকর… উনি আমায় বরাবর সন্তানস্নেহে দেখেছেন”, দাবি আয়েষার।
